শনিবার লকেটের নেতৃত্বে চিন্তন বৈঠকে ঝড় তুলতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন “বিদ্রোহী” বিজেপি নেতারা

(লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ‘আত্মসমীক্ষা’ টুইটে ফের রাজ্য বিজেপির অন্দরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে লকেট পাশে পেয়েছেন বেসুরো নেতাদের)

উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বাংলার বাইরে সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়। বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি গেলেও বাংলায় আসেননি। একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজ্য রাজনীতিরতে কার্যত দেখা মেলেনি লকেটের। উপনির্বাচন হোক কিংবা পুরভোট, প্রচারেও অংশ নেননি তিনি।

যা নিয়ে দলের অন্দরে লকেটকে নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের অনেকেরই ক্ষোভ ছিল ভোটের আগে থেকেই। লকেট আবার দাবি করেছেন, উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছে। নেতৃত্বের নির্দেশ তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। সেখানে ভোটপর্ব মেটার পর গতকাল, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কলকাতায় ফিরেছেন লকেট।

আগামিকাল, শনিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রাজ্য বিজেপির চিন্তন বৈঠকে হাজির থাকবেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা সহ পাঁচ পুরনিগম ও তারপর সদ্যসমাপ্ত ১০৮টি পুরসভার ভোটে পর্যদুস্ত হয়েছে গেরুয়া শিবির। ভোট শতাংশের নিরিখে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে পিছনে ফেলে দু’নম্বরে উঠে এসেছে বামেরা। বিজেপি যখন শূন্য, তখন এই মন্দার বাজারেও একটি বোর্ড দখল করেছে বামেরা।

ঠিক সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে শুধু ছাপ্পা আর সন্ত্রাসের তত্ত্ব খাড়া করে গো-হারের কারণকে দেখাতে চাইছে সুকান্ত মজুমদার শিবির। দলের নিচুতলার সংগঠনের ভেঙে পড়ার অবস্থাকে আড়াল করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতারা।

অন্যদিকে, একুশের বিধানসভা ভোটের পর একাধিক উপনির্বাচন ও পুরভোটে বার বার বিপর্যয়ের কারণ হিসাবে শুধু ছাপ্পা আর সন্ত্রাসের তত্ত্ব মানতে নারাজ দলের একটা বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ‘আত্মসমীক্ষা’ টুইটে ফের রাজ্য বিজেপির অন্দরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে লকেট পাশে পেয়েছেন বেসুরো নেতাদের। প্রায় একডজন দলীয় বিধায়কও লকেটের সঙ্গে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। যাঁরা অহেতুক দলের ব্যর্থতা ঢাকা দিয়ে গিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের শুধু তৃণমূলকে গালমন্দ করাকে আমল দিতে চান না।

প্রসঙ্গত, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির মতো প্রকাশ্যে রাজ্য কমিটির বিরুদ্ধে সরব না হলেও লকেট যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে রয়েছেন এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই উত্তরাখণ্ডে থাকার সময়ে বিদ্রোহী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক করেন লকেট। এর পরে দিল্লিতে বরখাস্ত বিজেপি নেতা রীতেশ তিওয়ারির সঙ্গেও বৈঠক হয় তাঁর। এ বার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েও প্রকাশ্যে টুইট করার পরে লকেটের অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। সব মিলিয়ে শনিবার শনিবার লকেটের নেতৃত্বে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে চিন্তন বৈঠকে ঝড় তুলতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন “বিদ্রোহী” বিজেপি নেতারা

 

 

Previous articleRod Marsh: প্রয়াত অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার রড মার্শ
Next articleRussia-Eucraine : ইউক্রেনের কিভ থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ ভারতীয় ছাত্র