Tangra Fire: ১৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, ধিক ধিক করে জ্বলছে ট্যাংরার ওয়াটারপ্রুফ কাপড়ের গুদাম

রাতভর লড়াই চালিয়ে ১৪ ঘণ্টা পার করে শেষমেশ নিয়ন্ত্রণে ট্যাংরার মেহের আলি লেনের গুদামের অগ্নিকাণ্ড। ইতিমধ্যেই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে ট্যাংরার গুদাম। আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমলেও ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে এলাকা। ভোরের দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ধিক ধিক করে জ্বলছে আগুন।বেশ কিছু জায়গায় এখনও জ্বলছে পকেট ফায়ার। দমকল তরফে জানানো হয়েছে, দোতলা সমান উঁচু কারখানায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। তার মধ্যেই চলছিল ওয়েল্ডিংয়ের কাজ। তার থেকেই আগুনের ফুলকি ছিটকে বিপত্তি । এরই মধ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে গুদামের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। তাতে করে নতুন করে বিপত্তি দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন:Accident:সাঁতরাগাছি উড়ালপুলে দুর্ঘটনার কবলে একসঙ্গে ৪টি গাড়ি, অল্পের জন্য রক্ষা গাড়ির চালকের

জানা গেছে, পকেট ফায়ারগুলি পুরপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব নয়। দাহ্য পদার্থগুলি সম্পূর্ণ পুড়ে না যাওয়া অবধি নেভানো যাবে না এই পকেট ফায়ার। এর কারণ আগুনের উৎসমুখ অবধি পৌছাচ্ছেনা জল। ভাঙা টিনের শেডের নিচে রয়েছে আগুনের উৎস। কিন্তু সেখান অবধি জল পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। সরাসরি জল না পেলে পকেট ফায়ারগুলিকে নেভানো যাবে না বলে দমকল সূত্রের খবর।


প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় আচমকাই ট্যাংরার গুদামে আগুন লাগে। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দাউ-দাউ করে জ্বলে ওঠে গুদামটি। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকার গোটা আকাশ। এলাকাটি ঘিঞ্জি থাকায় এলাকায় ঢুকতে হিমশিম খান দমকলকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় দমকলের ১৫ ইঞ্জিন। সর্বগ্রাসী আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিন দমকল কর্মী। তাদের মধ্যে দুই কর্মীকে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। দমকলকর্মীদের সঙ্গে হাত লাগান এলাকার বাসিন্দারা। কারখানার পাঁচিল ভেঙে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন দমকলকর্মীরা। খালি করা হয় গুদাম সংলগ্ন বাড়িগুলির বাসিন্দাদের। যদিও বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি।

Previous articleWeather Forecast:চৈত্রের শুরুতেই বাড়বে তাপমাত্রা, কবে বৃষ্টি? জানাল আবহাওয়া দফতর
Next articleRussia Ukraine:যুদ্ধের ইতি! পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান জেলেনস্কি