মানুষ মেরুদণ্ডী প্রাণী। তাঁর দু’হাত, দুই পা, চোখ নাক মুখ চুল সবই খুব স্বাভাবিক, কিন্তু আলাদা হল ত্বক (skin)।মানুষের ত্বকের (skin) রঙ (complexion) মানেই হয় সাদাটে, কারোর আবার তামাটে বা কালচে, কিন্তু গায়ের রং (complexion) সবুজ! কষ্মিন কালেও শুনেছেন এমন কথা? কিন্তু ‘ ইহাই ঘটিয়াছে বাস্তবে ‘।
এক নয় দুজন মানুষের গায়ের (skin) রং (complexion) সবুজ। তাঁরা সম্পর্কে ভাই বোন।ইংল্যান্ডের সাফোকের উলপিট গ্রামে হঠাৎ-ই একদিন দেখা মেলে তাঁদের। গ্রামবাসীদের চক্ষু চড়কগাছ! এও কি সম্ভব? ভিন গ্রহের প্রাণী নয়তো? তাঁদের চোখ-নাক-মুখ- চেহারার গড়ন আর পাঁচটা সাধারণ স্বাভাবিক মানুষের মতো হলেও, ব্যতিক্রমী তাঁদের গায়ের রং। অস্বাভাবিক সবুজ রঙের দেহ তাদের। এরপর থেকেই দুই ভাই বোনকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। তাঁরা যেন অন্য কোনও এক পৃথিবীর মানুষ। দুই ভাই বোনের কথা গ্রামের কেউ বুঝতেন না। যেন অস্বাভাবিক-অজানা কোনও সাংকেতিক ভাষায় তাঁদের কথোপকথন চলত। পরনের পোশাক-আশাক ভারি অদ্ভুত! ভাই-বোনের খাদ্য তালিকায় ছিল কাঁচা শিম।
গল্প নয় এক্কেবারে সত্যি ঘটনা। কিছুদিন পর অবশ্য ভাইটি মারা যায়, বেঁচে থাকে বোন। তাঁকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ভাবে বড় করার চেষ্টা শুরু হয়। প্রথমেই ইংরেজি ভাষা শেখানো হয়, যাতে তাঁর সাথে কথা বলতে বা বুঝতে কোনও সমস্যা না হয়। এরপর ধাপে ধাপে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে মেয়েটিকে সাধারণ খাবার খাওয়ানো হয়।বড় অদ্ভুত ব্যাপার, এরপর মেয়েটির গায়ের সবুজ রং পাল্টাতে শুরু করে।সে জানায় সেন্ট মার্টিন্স ল্যান্ড থেকে ভাইকে নিয়ে সে এসেছিল। তার কথায়, সেন্ট মার্টিন্স হল মাটির নিচে থাকা এক রাজ্য, যেখানে সবার গায়ের রং সবুজ।
ঘটনাটি দ্বাদশ শতকের। সেই সময় মেয়েটির কথা অনেকেই বিশ্বাস করেনি। বহু গবেষক এই সবুজ ভাই-বোনের অতীত নিয়ে খোঁজ খবর চালান, গবেষণা হয় কিন্তু হাজারও কৌতুহলের নিরাময় হয় নি। কেন তাঁদের গায়ের রং সবুজ তা যেন আজও এক রহস্য!