Nabadwip:চৈতন্যদেবের জন্মস্থানে কসাইখানায় ‘না’, কেন্দ্রের পাঠানো টাকা ফেরত দিল রাজ্য

২০১৭ সালে পুণ্যভূমি নবদ্বীপ (Nabadwip) শহরে কসাইখানা তৈরির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta Highcourt)একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।

ঐতিহ্যবাহী পুণ্যভূমি নবদ্বীপ (Nabadwip)শহর, মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবের এই জন্মস্থানের এক আলাদা ধর্মীয় মাহাত্ম্য (Religious greatness)রয়েছে। তাই এখানে কোনও ভাবেই কসাইখানা নয়। কেন্দ্রকে (Central Government) টাকা ফিরিয়ে দিল রাজ্য সরকার(West Bengal Government)। নবদ্বীপ শহরে কসাইখানা তৈরি নিয়ে একটি মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তারা কসাইখানা তৈরির অর্থ কেন্দ্রকে ফিরিয়ে দিয়েছে।

২০১৭ সালে পুণ্যভূমি নবদ্বীপ (Nabadwip) শহরে কসাইখানা তৈরির বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta Highcourt)একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। কেন্দ্রে নমো সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যের নজরদারিতে প্রতিটি পুরসভা এলাকা এবং জেলায় জেলায় কিছু কসাইখানা তৈরিতে সম্মতি দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। সেইমত যে তালিকা প্রকাশ করা হয় তাতে নবদ্বীপ পুরসভার নাম উঠে আসে। এরপর কসাইখানা তৈরির জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে টাকা পাঠানো হয়েছিল রাজ্যকে। তার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ভক্তিসাধন তৎপর মহারাজ।

ভক্তিসাধন তৎপর মহারাজ আদালতে যে আবেদন করেছিলেন তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে কসাইখানা করা যেতে পারে কিন্তু মাথায় রাখতে হবে কোনও ভাবেই যেন কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করা হয়। কারণ বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক তথা মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য দেবের জন্মস্থান হল এই নবদ্বীপ শহর। এখানে কসাইখানা তৈরি হলে অশান্তির আবহ তৈরির আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাই যাতে কসাইখানা তৈরি না করা হয় তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের কাছে তিনি আবেদন জানান।কিন্তু এই মামলা চলাকালীনই কসাইখানা তৈরির জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে বরাদ্দ অর্থ রাজ্যের কাছে আসে। কিন্তু কসাইখানা তৈরি করা কতটা যুক্তিযুক্ত? এই বিষয়ে চিন্তা ভাবনার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সময় নেওয়া হয়। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে কসাইখানা তৈরি না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই মর্মেই কেন্দ্রের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়। রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি মঙ্গলবার আদালতকে গোটা বিষয়টি জানাবার পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলার নিষ্পত্তি করে দেন ।

 

Previous article‘বাড়ি যাবে আয়কর বিভাগ’, বিধানসভায় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে হুমকি শুভেন্দুর
Next articleAssembly: রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের তুলনা, রাফ অ্যান্ড টাফ হওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর