পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় পুলিশের সাহায্য নিয়ে তদন্ত শুরু করল CID।বুধবার বিকেলেই ৬ সদস্য নিয়ে SIT এর দল গঠন করা হয়। পাশাপাশি খুনের তড়িঘড়ি কিনারা করতে CID তদন্ত শুরু হয়েছে।এদিকে নিহত কাউন্সিলরের ভাইপোকে গ্রেফতার করে তাকে বুধবারই আদালতে তোলা হয়। ধৃতের চোদ্দ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় পুরুলিয়া জেলা আদালত।
আরও পড়ুন:Fire: রাতের কলকাতায় বিধ্বংসী আগুন!পুড়ে ছাই প্লাস্টিক কারখানা
এদিন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের বাড়িতে যান CID আধিকারিকরা। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী-সহ পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। খুনের দিন পূঙ্খানুপুঙ্খ বিষয় নিয়ে কথা বলা ছাড়াও পারিবারিক কোনও শত্রুতা ছিল কিনা, তা নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা।
খুনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুভাষ গড়াই। পেশায় পুরসভার কর বিভাগের স্থায়ী কর্মী তিনি। কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি । তবে ওই এফআইআরে কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম উল্লেখ ছিল না। ঘটনার পরেরদিন রাতেই নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা লিখিত অভিযোগ করেন পুলিশ সুপারের কাছে। তাতে তিনি ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ-সহ ৬ জনের বিরূদ্ধে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ করেন। সেই সূত্র ধরেই এফআইআরে নাম থাকা ধৃত দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।