ভারত সফরে আসছেন পেগাসাস জন্মদাতা দেশ, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট (Israel PM Naftali Bennett)। এপ্রিল মাসের ২ তারিখেই ভারতে আসছেন তিনি। ফোনে আঁড়ি পাতা কাণ্ড বা পেগাসাস ইস্যু নিয়ে যখন সুপ্রিম কোর্টে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রের সরকারকে, ঠিক সেইসময় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:Narendra মোদি : বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনায়ককে হারিয়ে জনপ্রিয়তম নেতার শিরোপা পেলেন মোদি
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই প্রথমবার ভারত সফরে আসছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। আগামী মাসের শুরুতেই ভারতে প্রথম সরকারি সফরে যাচ্ছেন তিনি। জানা গেছে, বেনেট তাঁর সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন। পাশাপাশি দেশের ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গেও দেখা করবেন। ভারত সফর সম্পর্কে ইজরায়েরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমন্ত্রণে ভারতে প্রথম সরকারি সফর করতে পেরে আনন্দিত এবং একসঙ্গে আমরা দেশের সম্পর্কের পথ দৃঢ় রাখব। মোদি, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করেছেন এবং এটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। দুটি অনন্য সংস্কৃতির মধ্যে সম্পর্ক – ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ইহুদি সংস্কৃতি – গভীর এবং অর্থপূর্ণ সহযোগিতার উপর নির্ভর করে”।

Prime Minister Naftali Bennett to visit India in early April, at the invitation of Indian Prime Minister @NarendraModi
PM Bennett: "I am delighted to pay my first official visit to India at the invitation of my friend @PMOIndia Modi."https://t.co/yCxknQzTv8 pic.twitter.com/tBQDtlmXJx
— Prime Minister of Israel (@IsraeliPM) March 19, 2022
প্রসঙ্গত, ফোনে আঁড়ি পাতা কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। সুপ্রিম কোর্টেও একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপি সরকারকে। পেগাসাস ব্যবহার করে কেন দেশের তাবড় নেতা-মন্ত্রীদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তরই সুপ্রিম কোর্টে সঠিকভাবে পরিবেশন করতে পারেনি কেন্দ্র। বারবার অজুহাত দেখিয়ে মামলাকে দিনের পর দিন আটকে রেখেছে। আর এরই মধ্যে পেগাসাসের জন্মদাতা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতে আমন্ত্রণ মোদির। এই দুইয়ের মধ্যে ইতিমধ্যেই যোগসাজশ দেখতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
