ফের বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার দাপট। দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ পেরিয়েছে। চিনেও বাড়ছে করোনার উদ্বেগ। এক সপ্তাহে বিশ্ব ৮ শতাংশ বেড়েছে করোনার সংক্রমণ।ইতিমধ্যেই ইজরায়েলে ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্ট BA.2-র খোঁজ মিলেছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনার চতুর্থ ঢেউ আসার আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু।
আরও পড়ুন:Abhishek Banerjee: তিন মিনিট আগেই ইডি দফতরে পৌঁছলেন অভিষেক
হু-এর অশনি সঙ্কেত মিলতেই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। করোনা ভাইরাসের নতুন চরিত্র বুঝতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ বৃদ্ধি ও পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়াতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মোট পাঁচটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। নমুনার সংখ্যা বৃদ্ধি ও পরীক্ষার গতি বাড়াতে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশ দেওয়া ছাড়া আর গত্যান্তর নেই। ” চিকিৎসকরা মনে করছেন, চিন ও কোরিয়ায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশন বাড়ানো জরুরি। সেইসঙ্গে কোভিড বিধিও মেনে চলা অপরিহার্য। পরীক্ষা ও টিকাকরণের পাশাপাশি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পজিটিভ রিপোর্ট চিহ্নিত করে নতুন প্রজাতি এল কি না দেখতে হবে। বাড়াতে হবে নজরদারিও। তবেই একমাত্র করোনাকে ঠেকানো সম্ভব হবে।
তবে করোনার দাপাদাপি থেকে অনেকটাই সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে ভারত। সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪৯ জন। গতকাল এই পরিসংখ্যান ছিল ১ হাজার ৭৬১ জন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। গতকাল এই পরিসংখ্যান ছিল ১২৭ জন। এই মুহূর্তে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ২৫ হাজার ১০৬। এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮১ কোটি ২৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৩০৩টি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।