Strike-cpm : বাংলাকে অচল করার বৃথা চেষ্টা বামেদের, কর্মনাশা বনধ ব্যর্থ করে দিল মানুষ

মোদি সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠন ও কৃষক সংগঠনগুলি। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনেই এভাবে বনধ ডাকায় স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত বিরক্ত সাধারণ মানুষ । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনদিনই কর্মনাশা বনধের রাজনীতিকে সমর্থন করেননি। বাংলার তৃণমূল সরকারও কর্মনাশা বনধের বিরোধী । বনধ করে, সাধারণ মানুষের রুজি রোজগার বন্ধ করে দিয়ে, জীবনযাপন স্তব্ধ করে দিয়ে কোনো উন্নতি হতে পারে না। বা এভাবে কোনও দাবি আদায়ই ন্যায়সঙ্গত নয় । অথচ বাম সংগঠনগুলি তাদের দীর্ঘদিনের বনধের অভ্যাস থেকে এখনো মুক্ত হতে পারেনি। ফলে চলতি সপ্তাহে সোম-মঙ্গল পরপর দুদিন দেশব্যাপী ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

 

সোমবার সকাল থেকেই এ রাজ্যের প্রতিটি স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত , বাজার -দোকান সবই খোলা রয়েছে । সাধারণ মানুষ অন্য আর পাঁচটা দিনের মতোই নিজের নিজের কর্মস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন । কোথাও বামেদের ডাকা বনধের কোনো প্রভাব পড়েনি । কিন্তু শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বাম সংগঠনগুলি। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে , কোথাও রাস্তা আটকে শুয়ে পড়ে , কোথাও সাধারণ মানুষের পথ আটকে গায়ের জোরে বনধ পালনের চেষ্টা চলেছে। যাদবপুর, বাগুইআটি, সল্টলেক , ডানলপ মোড়, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল , দুর্গাপুর, আসানসোল, খিদিরপুর, গড়িয়াহাট, গড়িয়া এলাকা থেকে শুরু করে রাজ্যের সর্বত্র এই একই ছবি ধরা পড়েছে। কোথাও কোথাও আবার বাম সমর্থকরা বাসের গায়ে আগুন দিয়ে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের চেষ্টা করেছে।

কোথাও আবার বনধ সমর্থকদের পুলিশ বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের বচসা শুরু হয়। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছে । সাধারণ মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে দিয়ে কর্মস্থলে যাওয়া থেকে প্রতিহত করাই যে এর উদ্দেশ্য তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই । কিন্তু সাধারণ মানুষও বাম সংগঠনের এই বিপথে চালিত করার অভ্যাসে পা দেননি। তাই সোমবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে জনজীবন স্বাভাবিক , ব্যস্ত ও কর্মমুখর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  পাহাড় থেকে গোটা ঘটনার ওপর কড়া নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বনধ পালনের নামে এভাবে গুন্ডামি , সাধারণ মানুষকে হয়রানি , সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ আদায় করতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

Previous articleবিধানসভায় শুভেন্দুর নেতৃত্বে ন্যক্কারজনক হামলা বিজেপির: ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, FIR-এর নির্দেশ
Next articleAssembly: বিধানসভায় বিজেপির ‘নির্লজ্জ’ দাপাদাপি, নাক ফাটল তৃণমূল বিধায়কের, সাসপেন্ড শুভেন্দু-সহ ৫ বিজেপি বিধায়ক