Amitabh Bachhan: আটের দশকের সুপারহিরো রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বিগ বি!

বলিউডের 'অ্যাংরি ইয়ংম্যান' শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন, একা হাতেই সব অন্যায়কে শেষ করার ক্ষমতা রাখেন তিনি।

সর্বশক্তিমান সুপারহিরোদের(Superhero) নিয়ে উন্মাদনা নেহাত কম নয় ফ্যানেদের মধ্যে। চিরকাল একাধারে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করার ক্ষমতা রাখেন এনারাই। তাই সুপার হিরোদের(Superhero) জয়জয়কার জগত জুড়ে। আসলে মানুষ যখনই পারিপার্শ্বিকতার চাপে অসহায় হয়ে পড়েছে তখনই আশ্রয় খুঁজেছে মহাজাগতিক বা অতিমানবিকতার। আর ঠিক সেই জায়গা থেকেই জন্ম নিয়েছে সুপারম্যান(Suparman), ব্যাটম্যান(Batman), স্পাইডারম্যান(Spiderman), ফ্যান্টম এমনকি দেশীয় সুপারহিরো শক্তিমান। এনাদের সবারই কমিকসের(Comics) দুনিয়ায় জয়জয়কার। ঠিক সেই সূত্র ধরেই আটের দশকের ভারতে আবির্ভাব ঘটেছিল এক নতুন সুপারহিরোর। নাম, বলিউড শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন(Amitabh bachhan)। সিনে দুনিয়ার কল্পনার ইমেজকে কাজে লাগিয়েই লেখা হয়েছিল এই সুপারহিরোর চিত্রনাট্য।

যারা মদ খান তারা মহাপাপী, বিষমদ ব্যাখ্যায় মহাত্মা গান্ধীকে টেনে বললেন নীতীশ

বলিউডের ‘অ্যাংরি ইয়ংম্যান’ শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন, একা হাতেই সব অন্যায়কে শেষ করার ক্ষমতা রাখেন তিনি। সেই জমানায় একের পর এক সুপারহিট ছবিতে তিনিই ছিলেন রুপোলি পর্দার রবিনহুড। তাঁর এই ইমেজকেই ইন্ডিয়া বুক হাউসের ‘মুভি ম্যাগ’ পত্রিকার সম্পাদক পাম্মি বক্সি কাজে লাগান সেই সময়ে। বলিউডের সুপারস্টার অভিনেতাকে তিনি নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন কমিকসের পাতায়। যেখানে দ্বৈত চরিত্রে থাকবেন অমিতাভ। একদিকে তাঁকে দেখা যাবে বাস্তবের অমিতাভ বচ্চন, আরেকদিকে তাঁর দ্বিতীয় সত্তা যিনি কিনা অসহায়ের ত্রাতা, গুন্ডা-বদমাশদের হাত থেকে রক্ষা করবে সমাজকে। শুধু তিনি নন কমিকসের অনেক চরিত্রকে ভাবা হয়েছিল তাঁর সিনেমার সূত্র ধরেই। সুপারহিরোর দুই সঙ্গী ছিলেন বিজয় এবং অ্যান্টনি। বচ্চনপ্রেমী মাত্রেই বুঝবেন এই দুটি নাম অমিতাভের অভিনীত চরিত্র থেকেই ধার করা। আর ‘কুলি’ সিনেমার মতোই সুপারহিরোর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল একটি বাজপাখি।

এই নয়া সুপারহিরোর নামটিও এসেছিল সিনেদুনিয়া থেকেই। ‘পুকার’ ছবির সেটে অমিতাভ বচ্চনের থেকে সম্মতি আদায় করতে যান পাম্মি বক্সি। সেখানে তিনি দেখেছিলেন, অমিতাভকে ‘সুপ্রিমো’ বলে ডাকেন রণধীর কাপুর। সেই নামটিই তিনি তুলে নিয়েছিলেন নিজের পরিকল্পিত এই সুপারহিরোর জন্য। আর খোদ গুলজারের কলমে ১৯৮৩ সাল থেকে হিন্দি এবং ইংরেজি দুই ভাষায় বেরোতে শুরু করে ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার অফ অমিতাভ বচ্চন’। অমিতাভের কোনও সিনেমার শ্যুট চলাকালীন সেটেই বিপদের খবর নিয়ে আসত বাজপাখিটি। আর সঙ্গে সঙ্গে সবার আড়ালে সুপারহিরো সুপ্রিমোর পোশাক পরে নিয়ে ছুটে যেতেন অমিতাভ। তাই বইয়ের শুরুতেই ছোটদের মনে করিয়ে দিতেন তিনি, “কাউকে বোলো না, আমিই সুপ্রিমো”।

Helicopter: হেলিকপ্টারে বৈষ্ণোদেবী ঘুরতে যেতে চেয়ে প্রতারণার ফাঁদে উত্তরপাড়ার ব্যবসায়ী

নিজেকে কমিকসের পাতায় দেখতে আপত্তি করেননি বিগ বি। তবে একটি ছোট্ট শর্ত রেখেছিলেন তিনি। বইটির কিছু কপি দান করতে হবে হাসপাতাল ও অনাথ আশ্রমের শিশুদের জন্য, এই ছিল তাঁর দাবি। বাস্তবে কোনও সুপারহিরো নাই বা থাকুক, ওই অসহায় শিশুদের কাছে সুপারহিরোর মতোই আশার আলো পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন।

Previous article৯ দিন পর লালনের বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার অ্যালসেশিয়ান শাবক
Next articleআশিসের অনুরোধেই আনারুলকে পদে রেখেছিলাম: বিস্ফোরক অনুব্রত