শিকড়ের টান! ছেলেকে নিয়ে বহরমপুরের স্কুলের গেটে কেন অরিজিৎ

করোনা কাটিয়ে স্কুল খোলায় ছেলেকে সেখানে পৌঁছতে গেছিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছন মাউন্ট লিটেরা জি স্কুলের প্রবেশদ্বারে।

বিনোদন জগৎটা (entertainment industry)বড় অদ্ভুত। আজকে যিনি শিরোনামে কালকে নেই কোনও স্থানে। গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড(Glamour World) এর ঝকঝকে জীবন অনেকসময় ভুলিয়ে দেয় শিকড়কে। কিন্তু জনপ্রিয়তার আকাশে উড়তে থাকা সেলেব যে আসলে মাটির মানুষ তা বোঝা গেল তাঁর কর্মকাণ্ডে। নাম অরিজিৎ সিং(Arijit Singh)।

Ranbir Alia wedding update: পাঞ্জাবি রীতি মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন রণবীর আলিয়া

তিনি বলিতারকা, তাঁর গান জীবনকে নিয়ে ভাবতে শেখায়। কিন্তু তিনি আলাদা, জীবনটাকে খুব সাধারণভাবে বাঁচতে পছন্দ করেন মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) ছেলেটা। নিজের ছেলের ভবিষ্যতেও যাতে মাটির গন্ধ মিশে থাকে তাই ছেলে জুল-কে ভর্তি করেছেন বহরমপুরের একটি স্কুলে। আসমুদ্র হিমাচল যাঁর সুরের ম্যাজিকে মোহিত – সেই অরিজিৎকে এভাবে দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার বন্যা। হ্যাঁ, সেই অরিজিৎ – যাঁকে ছাড়া বলিউডের প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালকদের ‘সেকেন্ড চয়েস’ নেই, যিনি গান গাইলে সুর আর কথা যেন অন্য মানে খুঁজে পায়, সেই অরিজিৎ – যাঁর মাসিক উপার্জন প্রায় কোটি টাকা, তাঁর ছেলে বহরমপুরের স্কুলে।

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে উঠে আসা ছেলেটির এখন ঠিকানা – মুম্বইয়ের আন্ধেরি। কিন্তু সেই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে নয়, বরং তাঁর পরিবার কখনওই নিজেদের শিকড়কে ভুলে যেতে চাননি। থেকেছেন জিয়াগঞ্জেই। এমনকী ছেলে জুল-কে ভর্তিও করেছেন বহরমপুরের একটি স্কুলে। সম্প্রতি সেই স্কুলেই যান অরিজিৎ। করোনা কাটিয়ে স্কুল খোলায় ছেলেকে সেখানে পৌঁছতে গেছিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছন মাউন্ট লিটেরা জি স্কুলের প্রবেশদ্বারে। গেট না খোলায় আর পাঁচজন অভিভাবকের সঙ্গেই দাঁড়িয়ে থাকেন মিস্টার ভয়েস। ‘ন্যাশনাল সেলিব্রিটি’ হয়েও মৌলিক-প্রান্তিক থেকে গেলেন অরিজিৎ সিং। গ্রাম বাংলার মেঠো গন্ধ গায়ে মেখে যেন বুঝিয়ে দিলেন এ ভাবেও বেঁচে থাকা যায়!

Previous articleস্কুল যাওয়ার পথে উধাও উত্তরপাড়া হোমের দুই কিশোরী
Next articleই বাস-অটোর কারখানা তৈরি হতে চলেছে বাংলায় , লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা