প্রিন্সটন ক্লাব বাংলা নববর্ষের সূচনায় আয়োজন করেছে বাঙালি খাদ‍্যোৎসব

ভোজনরসিকদের পছন্দের – ইলিশ, ভেটকি বা চিংড়ির সুস্বাদু পদ থেকে শুরু করে যেকোনো জনপ্রিয় বাঙালি খাবারের স্বাদ আপনি প্রিন্সটন ক্লাবে এসে নিতে পারেন।

কথায় বলে “মাছে ভাতে বাঙালি”।বাংলা নববর্ষ হবে আর বাঙালি ঝালে ঝোলে অম্বলে থাকবে না তাও কি হয়! সেই ভাবনা থেকেই প্রিন্সটন ক্লাব বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাঙালি খাদ‍্যোৎসবের আয়োজন করেছে।

মহামারীজনিত কারণে দুই বছরের স্থবিরতার পর এবার আড়ম্বর ও জাঁকজমকের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান উদযাপন করতে প্রিন্সটন ক্লাব, কলকাতার অন‍্যতম প্রিমিয়াম স‍্যোশাল ক্লাব পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রিন্সটন ক্লাবে বাংলার পছন্দের খাবারের সঙ্গে এই পয়লা বৈশাখকে বিশেষ করে তুলতে থাকছে হরেক মনোমুগ্ধকর বৈশাখী আয়োজন। ক্লাবটি তার অতিথি এবং মূল্যবান সদস্যদের জন্য ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সাজসজ্জা প্রস্তুত করছে – যা বাংলার ঐতিহ্যকে সংজ্ঞায়িত করে বাঙালির নববর্ষের উৎসবে আকর্ষণ যোগ করবে।

ভোজনরসিকদের পছন্দের – ইলিশ, ভেটকি বা চিংড়ির সুস্বাদু পদ থেকে শুরু করে যেকোনো জনপ্রিয় বাঙালি খাবারের স্বাদ আপনি প্রিন্সটন ক্লাবে এসে নিতে পারেন। আগামী 14-16 এপ্রিল মধ‍্যাহ্ন ভোজ এবং ডিনারের জন্য বিশেষ বাঙালি মেনু উপলব্ধ হবে। “আম পোড়ার শরবত” দিয়ে শুরু করেন করে “ঘি ভাত”, “জমিদারী সুক্ত”, “দই পটল”এর স্বাদ বাঙালি আত্মাকে তৃপ্ত করবে। নিরামিষাশীরা “লুচি” এর সঙ্গে “নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল” , “নিরামিশ এঁচোড়ের ডালনা”চেখে দেখতে পারেন। আমিষভোজীদের জন‍্য তালিকায় রয়েছে “কাঁচা লঙ্কা মুরগি, মটন ডাকবাংলো”। মাছ প্রেমীদের জন্য রসালো “সর্ষে ইলিশ” “ভাজা ইলিশ”, “পাবদার তেল ঝাল” এবং “চিংড়ির মালাইকারি”র মতো পদ থাকছে । মিষ্টি ছাড়া বাঙালিয়ানা অসম্পূর্ণ। প্রিন্সটন ক্লাব সেই কথা মাথায় রেখে “আম দই এবং রাজভোগ” এর মতো মিষ্টি রেখেছে শেষপাতে।
“বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আমরা নতুন পোশাক পরি, বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করি, সর্বোপরি ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করি। প্রিন্সটন ক্লাব, তার সুস্বাদু রন্ধন অভিজ্ঞতার জন্য বরাবর বিখ্যাত। এবারও তার জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন ভোজন রসিকদের আনন্দিত করবে। এই বছরটি আরও বিশেষ কারণ লোকেরা মহামারীর সৌজন্যে দুই বছরের ব্যবধানের পরে তাদের বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষা করছে। বাঙালিরা তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের প্রতি অনুরাগী। তাই আমরা এখানে, বাঙালির পছন্দের প্রায় প্রতিটি খাবারের পদ প্রস্তুত করছি। আমাদের অতিথিদের বাঙালি রান্নাঘরের খাঁটি স্বাদ দেওয়ার জন্য আমাদের শেফ অভিজিৎ চক্রবর্তীর দ্বারা খাদ্য উৎসবটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। আমরা নিশ্চিত যে আমাদের অতিথিরা সত্যিই
এটি উপভোগ করবেন”, বলেছেন সঞ্জয় কর্মকার, অপারেশন ম্যানেজার, প্রিন্সটন ক্লাব।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য: “ পোড়া আম এর শরবত” “গন্ধরাজ লেবুর সঙ্গে সবুজ সালাদ”, “কারি পাতা দিয়ে ঝুরি আলু ভাজা” “আম কাসুন্দির সঙ্গে মোচার চপ”, “ভাজা মশলা দিয়ে আলুর দম”, জমিদারী সুক্ত ”, “নিরামিশ এঁচোড়ের ডালনা, নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল”, “দই পটল”, “লুচি”, “ঘি ভাত, সাদা ভাত”, “কাঁচা লঙ্কা মুরগি”, “মটন ডাক বাংলো”, “ভাজা ইলিশ”, “সর্ষে ইলিশ:, “পাবদার তেল ঝাল”, “চিংড়ি মালাই কারি”।

ডেজার্ট: “ফ্রুট চাটনি”, “পাপড়”, “আম দই, রাজ ভোগ” এবং আরও অনেক কিছু…।

আরও পড়ুন:সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করলাম: মুখ্যমন্ত্রী

Previous articleসবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করলাম: মুখ্যমন্ত্রী
Next articleআজ নববর্ষ ! জানেন কী এর উৎপত্তি?