বেহালাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বাবন-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার পুলিশের

বেহালাকাণ্ডের খবর পেতেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত বাবন ওরফে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারকে বাবনকে পুলিশের কাছে সারেন্ডারের নির্দেশ দেন বেহালার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তা না করে গা ঢাকা দেয় বেহালাকাণ্ডে অভিযুক্ত সোমনাথ-সহ আরও ৭ জন। রবিবার তাদের হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার জয়পুরে একটি খামার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের গুণ্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা। রবিবারই তাঁদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃতদের মোবাইল ফোন ও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


আরও পড়ুন:হাঁসখালিকাণ্ডে অভিযুক্তদের DNA পরীক্ষার নমুনা দিল্লিতে পাঠাল CBI


পুলিশ  সূত্রের খবর, ঘটনার পরই গাড়িতে করে ওড়িশার বালেশ্বরে পালিয়ে যান বাবন। প্রথমে বারাসতের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে ওড়িশার বালেশ্বরে পালিয়া যান বাবন সহ বাকি ৬ জন অভিযুক্ত। সেখানে একদিন থাকার পর তিনি তার সঙ্গীদের নিয়ে খড়্গপুর চলে যান, সেখান থেকে আবার দিঘায় চলে আসেন তিনি। দিঘা একদিন থাকার পর তিনি হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় জয়পুরে চলে আসেন। সেখানে তাঁরা বন্ধুর এক ‘ফার্ম হাউসে’ ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। পুলিশকে ফাঁকি দিতেই এই গোটা প্রক্রিয়ায় মধ্যে বহুবার সিম ও গাড়ি বদল করেন তাঁরা। সেকারণেই ঘটনার মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পাঁচদিন সময় লাগে পুলিশের।

প্রসঙ্গত বেহালায় গতও বৃহস্পতিবার চুকমেলাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। বচসা থেকে প্রথমে শুরু হলেও তা পরে হাতাহাতিতে পৌঁছে যায়। ভাঙচুর হয় তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস। এরপর অশান্তি আরও চরমে ওঠে। এলাকায় দিনভর জারি ছিল উত্তেজনা। তারপর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় বাবন।

Previous articleধন্যবাদ মমতাদি! বাবার জয়ে আনন্দে ভাসলেন সোনাক্ষী সিনহা 
Next articleগুটখা ব্যবসায়ীর বিছানায় লুকোনো টাকা গুনতে ১৫ জন অফিসারের লাগল ১৮ ঘণ্টা!