জাহাঙ্গিরপুরী হিংসা: হলদিয়া এল তদন্তকারী দল, জামাইয়ের কাণ্ডে হতবাক এলাকাবাসী

হনুমান জয়ন্তীর দিন দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে(Jahangirpuri) হিংসা ছড়ানোর ঘটনার তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরে(East Mednipur) এল দিল্লি পুলিশের তিন সদস্যের তদন্তকারী দল। তাঁরা মঙ্গলবার রাতে মহিষাদল থানায় যান তদন্তকারীরা(Investigetor)। এরপর বুধবার তাঁরা তদন্তের জন্য যান হলদিয়া(Haldia) ব্লকের কুমারপুর গ্রামে।

এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ধৃত আনসার শেখের বাড়ি হলদিয়ার কুমারপুর গ্রামে। পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িত আরেক অভিযুক্ত ধৃত শেখ আসলামের বাড়ি মহিষাদলের কাঞ্চনপুর গ্রামে। এই দুই যুবকের দিল্লি কাণ্ডে যোগ রয়েছে জানতে পেরে স্থানীয়রা কার্যত হতভম্ব। কুমারপুর গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, দিল্লি হামলায় অভিযুক্ত আনসারের বছর পনের আগে বিয়ে হয় এই গ্রামের মেয়ের সঙ্গে। আনসারের আসল বাড়ি বিহারে। হলদিয়ার কুমারপুরে শ্বশুরবাড়ি। শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত ছিল তার। যদিও এলাকার ভোটার তালিকায় নাম নেই আনসারের। কর্মসূত্রে বেশিরভাগ সময় দিল্লিতে কাটালেও বছরে দু একবার শ্বশুরবাড়ি আসতো। মূলত রমজান মাসে সে আসতো। তবে সে শেষবার হলদিয়া এসেছিল বিধানসভা ভোটের আগে। আর এলেই প্রচুর দান ধ্যান করতো আনসার। জামাইয়ের মতো শ্বশুরবাড়ির লোকজনও দিল্লিতে থাকেন। সেখানেই আনসারের সঙ্গে কুমারপুরের মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। সেকারণে হলদিয়ার কুমারপুরের দোতলা শ্বশুরবাড়ি বেশিরভাগ সময় তালা বন্ধ থাকে। তবে দিন দশ পনের আগে আসলামের স্ত্রী হলদিয়ার এই বাড়িতে এসেছিল। তারপর তাকে আর দেখা যায়নি। সেই আনসার দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর অশান্তির ঘটনায় জড়িত জেনে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে।

আরও পড়ুন:SSKM থেকে রামরিক হাসপাতালে অনুব্রত, শারীরিক পরীক্ষার পর ফিরিয়ে আনা হয় উডবার্নে

চকদ্বীপা অঞ্চলের উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আনসারের কাজ কারবার সমস্তটাই দিল্লিতে। সেখানে তাঁর মোবাইলের দোকান রয়েছে। সঙ্গে স্ক্র্যাপ লোহার ব্যবসাও রয়েছে। গ্রামে এলেই হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বহু দুঃস্থ মানুষকে সাহায্য করতেন আনসার। তবে এখানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনসারের যোগ ছিল না।” বিজেপি সরকারই সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য এমন ভাবে মিথ্যা মামলা করছে।” অন্যদিকে মহিষাদলের কাঞ্চনপুরেও উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন রাজমিস্ত্রী সেখ আসলামের পরিবার। দিল্লিকাণ্ডে তাঁরও নাম জড়িয়েছে। এদিকে ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে শুনে অবাক হয়ে গিয়েছেন সেক আসলমের মা আসিফাবিবি। তাঁর ৬ ছেলে । দিল্লিতে খাবারের দোকান রয়েছে । পঞ্চম ছেলে আসলাম রাজমিস্ত্রির কাজ করে। কলকাতায় কাজ করার পর কয়েক মাস আগে দিল্লি গিয়েছিল কাজ করতে। ছেলেরা বাইরে থাকায় গ্রামের দোতলা পাকা বাড়িতে পরিবারের অনান্য সদস্যদের সঙ্গে থাকেন আসিফাবিবি।

তিনি বলেন, “দিল্লি থেকে এক বৌমা ফোন করে আসলমের বিষয়ে জানিয়েছে। তবে বেশি কিছু বলেনি। তাই কি ঘটেছে আমি জানিনা । দিল্লিতে ছেলেদের বড় খাবারের দোকান রয়েছে। ব্যবসার জন্যে ছেলেরা সেখানেই থাকে। কয়েক মাস আগে আসলম দিল্লি গিয়েছে ।” তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় তদন্তের জন্য দিল্লির তদন্তকারী দলকে সমস্ত সহযোগিতা করা হচ্ছে।




Previous articleSSKM থেকে রামরিক হাসপাতালে অনুব্রত, শারীরিক পরীক্ষার পর ফিরিয়ে আনা হয় উডবার্নে
Next articleআগামী তিনদিন রাজ্যজুড়ে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস