‘ওকে বেশ দেখতে ভালো, সুন্দর-ফর্সা!’ সকলকে চমকে দিয়ে অর্জুনের প্রশংসায় মদন

মদন বনাম অর্জুন বাকযুদ্ধ আজও রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম চর্চার বিষয়। দুই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিষোদ্গার থেকে ব্যক্তি আক্রমণ আজও রাজ্য রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয়

সাল ২০১৯। বিজেপি তখন এ রাজ্যে মধ্য গগণের সূর্য। লোকসভার সঙ্গেই বেশ কয়েকটি বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট। সেই সময় ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা ঘাসফুল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে লোকসভার প্রার্থী। আর তাঁর ছেড়ে যাওয়া বিধানসভা কেন্দ্র ভাটপাড়ার প্রার্থী পুত্র পবন সিং। দলবদলের ডামাডোলের বাজারে ভাটপাড়া উপনির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়ে দিলেন মদন মিত্রকে।

সেই থেকে মদন বনাম অর্জুন বাকযুদ্ধ আজও রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম চর্চার বিষয়। দুই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিষোদ্গার থেকে ব্যক্তি আক্রমণ আজও রাজ্য রাজনীতিতে আলোচ্য বিষয়।

এবার সেই অর্জুন সিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মদন মিত্র। এতদিন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও, আজ বুধবার আচমকা কামাহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের মুখে তাঁর সুখ্যাতি শোনা গেল। যা কার্যত সকলকেই অবাক করেছে।

এদিন একটি মামলায় সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে এসেছিলেন মদন মিত্র। সেখান থেকে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্নের জবাবে হঠাৎ করে অর্জুন সিং সম্পর্কে প্রশংসা শোনা যায় মদন মিত্রের মুখে।

কিন্তু কেন?

আসলে রাজনীতিতে কেউ কারও চিরকালীন ‘বন্ধু’ বা ‘শত্রু’ হয় না। রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী রাজনীতি গতিপথ পরিবর্তিত হয়, এটা ঐতিহাসিক সত্য। সম্ভবত সেই ফর্মুলাতেই এবার মদনের মুখে অর্জুনের ঢালাও প্রশংসা।

সম্প্রতি, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের পাট শিল্প নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন খোদ বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। রাজ্য সরকারের হয়ে ব্যাট ধরে পথে নেমে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

অর্জুনের এমন ভূমিকার প্রসঙ্গে উঠতেই মদন মিত্র বলেন, ‘ইংরেজিতে একটা কথা আছে বেটার লেট দ্যান নেভার। এখন অর্জুন যদি সত্যি কথা বলে এবং ওর যদি মনে হয় যে, কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনা করছে, তাহলে তো সেটাই ঠিক।

আবার ওদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও শুভেন্দু ছেড়ে দিয়েছে শুনলাম। হয়ত বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও হোয়াটসআপ গ্রুপ করছে। সেটা আমি জানি না। আমি খুশি। আমরা যেটা দীর্ঘদিন ধরে বলছিলাম, বিজেপির একজন এমপি তাই মনে করেছেন।’

আরও পড়ুন- কানু সান্যালের বাড়ি দখল মুক্ত করা-সহ উত্তরবঙ্গের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

এখানেই শেষ নয়। সবকিছুর পর বারাকপুরের সাংসদ সম্পর্কে মদন মিত্র যা বললেন, তা কার্যত অভাবনীয় ও অপ্রত্যাশিত। তাঁর কথায়, ‘এতদিন বাদে আমার কেন জানি না মনে হচ্ছে, অর্জুনকে বেশ সুন্দর দেখতে। আগে বুঝিনি। অর্জুনকে বেশ দেখতে ভাল, ফর্সা। আমি ভাবছি কাল থেকে অর্জুনের মতো সাদা শার্ট পড়ব। ওকে বেশ ভালো লাগে।’

Previous articleদক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কবে, কী বলছে আবহাওয়া দফতর
Next articleরাজনীতির “হিরো” সাজতে গিয়ে আদিবাসী পরিবারের বিক্ষোভের মুখে শুভেন্দু