রেকর্ড গড়ে এপ্রিলে ৫৬০০ কোটি জিএসটি আদায় রাজ্যের

নয়া আর্থিক বছরের প্রথম মাসে রেকর্ড জিএসটি(GST) আদায় করল পশ্চিমবঙ্গ(West Bengal)। শুধুমাত্র এপ্রিল(April) মাসেই ৫,৬৮৮ কোটি টাকা জিএসটি আদায় করেছে রাজ্য। গত মার্চ মাসের তুলনায় প্রায় ১২০০ কোটি টাকা বেশি। বলার অপেক্ষা রাখে না, একদিকে যখন বাংলায় বিনিয়োগ আনতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করছে রাজ্য সেখানে বাংলার বাণিজ্য ক্ষেত্র ও আর্থিক লেনদেনে এই সাফল্য যে শিল্প মহলকে আরও উতসাহ দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি এই রেকর্ড পরিমাণ জিএসটি আদায়ের ফলে ‘এলিট ক্লাবে’ পদার্পণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ।

প্রসঙ্গত, দেশের যে সকল রাজ্য একমাসে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি জিএসটি আদায় করে থাকে তাদের দেশের রাজস্ব সংগ্রহে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ২০২১ সালের এপ্রিলে বাংলায় এই অঙ্ক ছিল ৫,২৩৬ কোটি টাকা। সেখানে গত মাসে পূর্ণ রাজ্যগুলির মধ্যে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুর পাশাপাশি সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি জিএসটি আদায়ের গণ্ডি পেরিয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র দিল্লি রয়েছে এই তালিকায়। এদিকে বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশেও মোট জিএসটি আদায়ের পরিমাণ এই প্রথম দেড় লক্ষ কোটি টাকার সীমানা ছাড়িয়ে গেল। গত মাসে এই খাতে আয় হয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর।

আরও পড়ুন:ঈদের সকালে রিজওয়ানুরের মায়ের পাশে মমতা-অভিষেক

তবে একদিকে জিএসটি আদায় আশাপ্রদ হলেও পাশাপাশি দেশের শিল্প ক্ষেত্রে ঘনাচ্ছে আশঙ্কার কালো মেঘ। কারণ কয়লা সঙ্কট। বর্তমানে দেসব্যাপি ব্যাপক কয়লা সংকটের জেরে চরমে উঠেছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। যার জেরে ব্যহত হচ্ছে শিল্পোৎপাদন। অর্থনীতির এই আশার চিত্রকে বিদ্যুৎ সমস্যা যাতে আবার অন্ধকারাচ্ছন্ন করে না তোলে, সেটা নিশ্চিত করতে মরিয়া কেন্দ্র। এই নিয়ে সোমবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদ্যুৎমন্ত্রী রাজকুমার সিং, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সাতদিনের মধ্যে এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার বিকল্প পথ খোঁজা হচ্ছে।




Previous articleবঙ্গ সফরের ঠাসা সূচির শুরুতেই সুন্দরবন যাবেন অমিত শাহ
Next articleপ্লাস্টিকের বোতল পুনরায় ব্যবহারে অভিনব ভাসমান পরিবেশবান্ধব দ্বীপ