প্লাস্টিকের বোতল পুনরায় ব্যবহারে অভিনব ভাসমান পরিবেশবান্ধব দ্বীপ

প্রায় আড়াই লক্ষ প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে গড়ে তোলেন ৬৬ ফুট লম্বা এবং ৫৪ ফুট চওড়া একটি দ্বীপ। যেখানে অনেক গাছ বসান রেইশি এবং একটি দোতলা বাড়িও তৈরি করেন ।

খালি প্লাস্টিকের বোতল(Plastic Bottle)জল রাখা ছাড়া আর কিসের কাজে লাগবে। ইদানীং অনেকেই খালি প্লাস্টিকের বোতল ((Plastic Bottle))রিসাইকেল (Recycle)করছেন। সুন্দর শো পিস করা বা ফুলের টবের আকার দিয়ে ছাদ বাগান সাজাচ্ছেন। কিন্তু খালি প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে আস্ত একটা ভাসমান দ্বীপ(Floating Island)। এমনটা কি কেউ ভেবেছে ? হ্যাঁ ভেবেছেন মেক্সিকোর(Mexico) রিচার্ট সোয়া(Richart Sowa) ওরফে রেইশি। তাও একবার নয় তিনবার সমুদ্রের উপরে ভাসমান বোতল দ্বীপ গড়ে তুলেছেন তিনি। এই দ্বীপ তৈরি করতে পেয়েছেন অনেক বাধা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কাছে হার মানতে হয়েছে তাঁকে। আবার মানুষও বিপদে ফেলেছেন মাঝেমধ্যেই কিন্তু দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি রেইশিকে (Richart Sowa)। আর অবশেষে সব বাধা পেরিয়ে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে রেইশির হাতে গড়া এই দ্বীপ।

নিজে একটি  পরিবেশবান্ধব দ্বীপের মালিক হবেন এমনটাই স্বপ্ন দেখতেন রিচার্ট সোয়া। ১৯৯৬ সালে মেক্সিকোতে এসে নিজের স্বপ্নপূরণ করবার উদ্যোগ নেন। জিপোলাট সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি দ্বীপটি গড়ে তুলতে শুরু করেন তিনি। জালের মধ্যে খালি প্লাস্টিকের বোতল ভরে  জলে ভাসিয়ে দ্বীপের কাঠামো তৈরি করে বাঁশ ও প্লাইউডের ছাওনি দেন। এর উপরে বালি ফেলে তৈরি হয় বোতল দ্বীপ। পরিবেশবান্ধব  দ্বীপে সৌরশক্তি ব্যবহার করার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই উপকূলের স্থানীয় মানুষেরা এক ভিনদেশিকে মেনে নিতে রাজি ছিল না ফলে দ্বীপ ছেড়ে চলে যান রেইশি ।

কিন্তু রেইশি হাল ছাড়েন নি মানুষ  ১৯৯৮ সালে ক্যারিবিয়ান উপকূলের পুয়ের্তো অ্যাভেঞ্চুরাসের কাছে আবার দ্বিতীয়বার দ্বীপ গড়া শুরু করেন তিনি। প্রায় আড়াই লক্ষ প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে গড়ে তোলেন ৬৬ ফুট লম্বা এবং ৫৪ ফুট চওড়া একটি দ্বীপ। যেখানে অনেক গাছ বসান রেইশি এবং একটি দোতলা বাড়িও তৈরি করেন । এ ছাড়া সৌরচুল্লি আর স্ববিয়োজনের সুবিধাসহ শৌচাগারও তৈরি করেন। কিন্তু সেখানেও বাধ সাধে ভাগ্য  ২০০৫ সালে ভয়াবহ হারিকেন ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় রেইশির সেই  দ্বীপ।

ঈদের সকালে রিজওয়ানুরের মায়ের পাশে মমতা-অভিষেক

তবুও অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলার জেদ তাঁর তাই  ২০০৭ সালের শেষ দিক থেকে ফের দ্বীপ গড়তে শুরু করেন।  গাছগাছালি  বাড়ি আর দুটি পুকুর, সোলার প্যানেল, সৌরশক্তিচালিত ঝরনা, সমুদ্রের ঢেউয়ের শক্তিতে চালিত ওয়াশিং মেশিন, কী নেই সেখানে!  দ্বীপটিকে স্বীকৃতি দেয় মেক্সিকো সরকারও। পর্যটকদের জন্যেও খুলে দেওয়া হয় এই দ্বীপ।তবে  ঝড়বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত  দ্বীপটিকে ২০১৯ সালে  আবার সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন রেইশি। আবার হয়তো পুনরায় চেষ্টা করবেন রেইশি এমন না ভাবার কোন কারণ নেই।

Previous articleরেকর্ড গড়ে এপ্রিলে ৫৬০০ কোটি জিএসটি আদায় রাজ্যের
Next articleরবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ওকাম্পোর সম্পর্কের সমীকরণ এবার সেলুলয়েডে