ইউনেস্কোর সম্মান বাংলার, অপমান করছে কেন্দ্র, প্রতিবাদে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব

বঙ্গের দুর্গাপুজো(Durga Puja) সারা বিশ্বের গর্ব। এ যেন এক মহোৎসব, গত ডিসেম্বরেই ইউনেস্কোর(UNESCO) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার পুজো। আর সেই স্বীকৃতি প্রাপ্তির অনুষ্ঠান নক্কারজনক ভাবে পালন করছে কেন্দ্র(Central)।

বাংলার দুর্গোৎসবকে ইউনেস্কোর (UNESCO)আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সদিচ্ছা এবং কলকাতার দুর্গাপূজা আয়োজকদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের(Forum for Durgotsab) উদ্যোগকে অস্বীকার করার ঘৃণ্য চেষ্টার বিরুদ্ধে ৬ মে কলকাতার প্রেস ক্লাবে (Kolkata Press Club) গর্জে উঠল  ফোরাম ফর দুর্গোৎসব(Forum for Durgotsab)।

বঙ্গের দুর্গাপুজো(Durga Puja) সারা বিশ্বের গর্ব। এ যেন এক মহোৎসব, গত ডিসেম্বরেই ইউনেস্কোর(UNESCO) আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার পুজো। আর সেই স্বীকৃতি প্রাপ্তির অনুষ্ঠান নক্কারজনক ভাবে পালন করছে কেন্দ্র(Central)। এই সম্মান মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল। ২০১১ সালে তৃণমূল (TMC)ক্ষমতায় আসার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক পদক্ষেপ করেছেন। পুজো উদ্যোক্তা তথা কমিটিগুলোর সঙ্গে কথা বলে সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করে গেছেন প্রতিনিয়ত। বিরোধীরা যতই কটাক্ষ করুন, মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দিয়েছেন, রেড রোডে বর্ণাঢ্য কার্নিভালের আয়োজন করেছেন, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে কার্যত তিনি শৈল্পিক রূপ দিয়েছেন। এই উৎসব থেকে প্রতি বছর প্রায় ২.৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি হয় বলে জানিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।  ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়, এক দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার ফলে এই স্বীকৃতি মিলেছে। ২০২১ এর মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক বিভাগে। তার ভিত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এই পুজোর মূল্যায়ন করেন। এই সংক্রান্ত নথি জোগাড় করে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। অবশেষে সেই বহু আকাঙ্খিত শিরোপা প্রদান করে ইউনেস্কো। অথচ সেই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত নন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। আমন্ত্রণের তালিকা থেকে বাদ ফোরাম ফর দুর্গোৎসব, এমনকি সেই সব শিল্পীরা যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দশভুজা চিন্ময়ী থেকে মৃন্ময়ী রূপ পান।

শুধু ঐতিহ্য নয়, দুর্গোৎসবকে শিল্পায়নের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁকে সহযোগিতা করেছেন পূজো উদ্যোক্তাগণ সাথে বাংলার মানুষ। আর বাংলার মানুষকে অর্থাৎ যাঁরা পুজোর সঙ্গে সর্বাঙ্গীন ভাবে জড়িয়ে তাঁদের বাদ দিয়ে পুজো নিয়ে যে ঘৃণ্য রাজনীতির খেলা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, আজ তাঁর প্রতিবাদ করলেন ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ এর সদস্যরা। নিরলস ভাবে বাংলার পুজোকে সেরার সেরা করার প্রচেষ্টা করলেন যেসব মানুষেরা আজ ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির অনুষ্ঠানে তাঁরা প্রাপ্য সম্মান পাওয়া তো দূরে থাক, আমন্ত্রণটুকুও পেলেন না। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এর পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয় আজকের ভিক্টোরিয়ার এই যে অনুষ্ঠান , যে সমারোহ তার সঙ্গে বাংলার মানুষের কোনও যোগই নেই, এটা বাংলার মানুষের কাছে অপমানজনক। এটা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের স্বার্থপর এক অনুষ্ঠান। এটা কোনও ভুল নয়, এটা কেন্দ্রের অন্যায়।

ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এর তরফ থেকে সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানান আগামী ১লা সেপ্টেম্বর সারা পশ্চিমবঙ্গের পুজোপ্রেমী মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পথে নেমে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাবেন, পাশাপাশি এই পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে সারা বিশ্বের কাছে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের কথা সকলকে পৌঁছে দেবেন। বাংলার মানুষ কীভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে তা সেইদিনই দেখতে পাবে ইউনেস্কো, জানান ফোরাম ফর দুর্গোৎসব এর সাধারণ সম্পাদক।



Previous articleসৌরভের বাড়িয়ে কব্জি ডুবিয়ে পঞ্চব্যঞ্জনে নৈশভোজ সেরে বঙ্গ সফর শেষ করলেন অমিত শাহ
Next articleবিনা জ্বালানিতে ভেসে থাকতে পারে টানা একবছর, কী সেই সৌরশক্তি চালিত বিমান?