হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যি করে শনিবার আরও শক্তি বাড়িয়েছে অশনি। দক্ষিণ আন্দামান এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ক্রমে শক্তিশালী হচ্ছে। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার ওই নিম্নচাপ আরো শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় হয়ে গেলে তার নাম হবে ‘অশনি’।
দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছিল, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসবে ভারতের উত্তর-পশ্চিম অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে। যদিও বাংলার উপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী১০ থেকে ১৩ মে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবীদের মাঝসমুদ্রে যেতে বারণও করা হয়েছে। যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলে তার অভিমুখ কোন দিকে হবে তা এখনই বলা মুশকিল । পরিণত রূপ পাওয়ার শেষ পর্যায়ে তার অভিমুখ যেদিকে থাকবে সেদিকেই যাবে ঘূর্ণিঝড়। তাই শেষ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় অশনি বাংলার দক্ষিণ উপকূলের দিকে আছড়ে পড়বে না এমন কথা নিশ্চিত করে এখনই বলা যাচ্ছে না।
আর সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এখন থেকে প্রস্তুতি পুরোপুরি তৈরি রেখেছে রাজ্য প্রশাসন।যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। জেলার প্রতিটি সাব-ডিভিশন এবং ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রশাসনের তরফ থেকে পাঁচটি আপৎকালীন ‘কুইক রেসপন্স টিম’ তৈরি করা হয়েছে। এক একটি দলে ২০ জন করে কর্মী থাকবেন । সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন। প্রয়োজনে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং কোস্ট গার্ডের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।