লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে হেনস্থা ও হুমকি, অভিযুক্ত এবিভিপি

অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি-এর রোষের মুখে বিশ্ববিদ্যায়ের অধ্যাপক। শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে অধ্যাপককে হেনস্তা এবং হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে এবিভিপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো…গোলি মারো…’। এরপরও চুপ গেরুয়া শিবির। অধ্যাপকের ঘরে ঢুকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি শাসকদল।




আরও পড়ুন:ভারতে গা ঢাকা শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষের পরিবারের? গুজব দাবি করে অস্বীকার ভারতীয় হাইকমিনের

বিতর্কের সূত্রপাত জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দির নিয়ে। আর এই বিতর্কের মাঝেই একটি হিন্দি সংবাদমাধ্যম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্কসভার আয়োজন করেছিল। সেই বিতর্কে অংশ নিতে আমন্ত্রিত করা হয়েছিল লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের  হিন্দির অধ্যাপক রবিকান্ত চন্দনকে। বিতর্কসভায় তিনি পট্টভী সীতারামাইয়ার ‘ফিদার্স অ্যান্ড স্টোন’ থেকে একটি গল্প উদ্ধৃত করে জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং বিশ্বনাথ মন্দির নিয়ে যে বিতর্ক চলছে সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। আর সেই ব্যাখা করতেই আপত্তি তোলে এবিভিপি-এর সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য হিন্দু দেবদেবীর ‘অপমান’ করেছেন ওই অধ্যাপক। এরপরই ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সরব হন এবিভিপির সদস্যরা। এমনকী অধ্যাপককে হেনস্তাও করেন এবিভিপি সদস্যরা।


এতেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। বিজেপি শাসিত রাজ্যে কখনও নারী নিগ্রহ তো কখনও অধ্যাপককে হেনস্তা। আর দলিতদের যেনতেন প্রক্রিয়ায় হেনস্তা তো আছেই। আর দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটতে থাকলেও শাস্তি না পেয়ে রেহাই কী করে পেয়ে যান অভিযুক্তরা? বড় বড় ভাষণ দিয়ে যাঁরা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে আইনশৃঙ্খলার ‘আইকন’ রাজ্য হিসেবে তুলে ধরেন, কোথায় গেলেন তাঁরা?

Previous articleভারতে গা ঢাকা শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষের পরিবারের? গুজব দাবি করে অস্বীকার ভারতীয় হাইকমিশনের
Next articleসিপাহী বিদ্রোহ: মোদির টুইটে ব্রাত্য মঙ্গল পাণ্ডে, ইতিহাস বিকৃতির খেলায় নেমেছে কেন্দ্র