শক্তি হারাচ্ছে ‘অশনি’, তুমুল বৃষ্টি কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গে

শক্তি হারাচ্ছে ‘অশনি’। রাজ্যবাসীকে স্বস্তি দিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়, বঙ্গে অশনি নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। ক্রমশ শক্তি হারিয়ে অতি ভারী ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড় হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ‘অশনি’। তবে বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে এর জেরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে।ইতিমধ্যেই দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। দীঘা, সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত।

আরও পড়ুন:রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর


মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবারের তুলনায় গতিবেগ কিছুটা বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিবেগে ক্রমশই উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় পৌঁছচ্ছে অশনি। এই মুহূর্তে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় অশনি অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে ৬০, কাঁকিনাড়া (অন্ধ্রপ্রদেশ) থেকে ১৮০, বিশাখাপত্তনম থেকে ৩১০, ওড়িশার গোপালপুর থেকে ৫৫০ ও পুরী থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।  আজ, সকাল ৮.৩০ থেকেই তার দাপট শুরু হয়েছে৷ প্রবল ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে ব্যাপক হারে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ ১২ই মে, বৃহস্পতিবার, পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে বলে জানানো হয়েছে৷শেষবেলায় তার গতিমুখ বদলে অন্ধ্র প্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা এবং লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ গতকাল পর্যন্ত এটির গতিমুখ ছিল উত্তর পশ্চিম দিকে৷ কিন্তু গত ছ’ ঘণ্টায় সেটি পশ্চিম- উত্তর পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে৷ ফলে সেটি অন্ধ্র উপকূলের খুবই কাছে অবস্থান করছে৷ কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই কাকিনাড়া উপকূল ছুঁতে চলেছে অশনি৷ পূর্বাভাস মতই সকাল থেকে অন্ধ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে৷


আবহবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবারই অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল ছুঁয়েছে ‘অশনি’। এবার ধীরে ধীরে বিশাখাপত্তনম উপকূলের দিকে এগিয়ে সেটি উত্তর পূর্ব দিকে এগোবে৷ অশনির কারণে অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাড়া, গনগাভরম এবং ভিমুনিপট্টনম বন্দরে দশ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে৷ শ্রীকাকুলাম, বিজিআনাগরম, বিশাখাপত্তনমে কমলা অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷


আজ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে দিঘা, মন্দারমণির মতো সমুদ্র উপকূলে রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে মাইকিং জারি রয়েছে। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা টিমও।

Previous articleরাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
Next article‘অশনি’-র জের! বাতিল ৩৭টি ট্রেন