গুজরাতে (Gujrat)ভারুচে উৎকর্ষ সমারোহর(Utkarsh Samaroh)উদ্যোগে সুবিধাভোগীদের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী আয়ুব প্যাটেল ও তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। আলাপচারিতায় তাঁদের কঠিন লড়াইয়ের কথা শুনে আবেগ সামলাতে পারলেন না মোদি। গলা বুজে আসে তার। বেশ কিছুক্ষণের জন্য চুপ হয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। পরে ফের কথাবার্তা শুরু করেন।

মোদীকে আয়ুব জানান, তাঁর তিন মেয়ে রয়েছে। তিন জনই স্কুলে পড়ে। এমনকী দু’জন পড়াশোনার জন্য সরকারি ভাতাও পায়। ওই ব্যক্তি আরও জানান, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী বড় মেয়ে ডাক্তার হতে চায়। মোদি এরপর সরাসরি ওই ছাত্রীর কাছে জানতে চান, সে ডাক্তার হতে চায় কেন? উত্তরে ছাত্রীটি বলে, “বাবার চোখের সমস্যার কারণেই বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।” একথা বলেই কেঁদে ফেলে সে। প্রসঙ্গত সৌদি আরবে কাজ করতেন তিনি। সেই সময় চোখের ড্রপ নিতে হত তাঁকে। ওই ড্রপের বিষক্রিয়ায় তাঁর দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হইয়ে যায়।
আরও পড়ুন:মাওবাদীদের অস্ত্র যোগাচ্ছে কেন্দ্রীয় জওয়ানরাই, রিপোর্টে চাঞ্চল্য

এই পরিস্থিতিতে আবেগে গলা বুজে আসে প্রধানমন্ত্রীর। কিছুক্ষণের জন্য চুপ করে যান তিনি। এরপর মেয়েটির উদ্দেশে বলেন, “তোমার এই সংবেদনশীলতাই তোমার শক্তি।” পাশাপাশি ডাক্তারি পড়ার জন্য প্রয়োজনে তাঁকে সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বলেন, “সকলের স্বপ্নকে সার্থক করতে হবে তোমাকে।”
