মেট্রো টানেলে জল ঢোকা বন্ধ করল KMRCL, বিকেলেই মুখোমুখি মেট্রো-পুরসভা

শুক্রবার সকালেও থমথমে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেন। বাস্তুহারা ৮৬ জন। তাঁদের সাহায্যার্থে  মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কথামত তড়িঘড়ি কাজে নেমে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। ফাটল নজরে আসতেই দফায়-দফায় গ্রাউটিংয়ের কাজ চালিয়ে যাওয়ায় আপাতত জল বেরনো বন্ধ হয়েছে। নতুন করে ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে KMRCL।

আরও পড়ুন:অশনির প্রভাব কাটতেই বঙ্গে শুরু গুমোট গরম


KMRCL সূত্রের দাবি, দুর্গাপিটুরি লেনে মেট্রোর কাজ চলাকালীন দেড় মিটার জায়গা জুড়ে ১১টি পকেট দিয়ে টানেলে জল ঢুকতে শুরু করে। ১০টি জায়গা দিয়ে প্রথমে জল ঢোকা বন্ধ করা সম্ভব হলেও, একটি জায়গা তখনও বন্ধ করা যায়নি।অন্য কোনও জায়গা দিয়ে ফের জল ঢুকতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন KMRCL-এর আধিকারিকরা। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আজ, শুক্রবার বিকেলে বৈঠকে বসতে চলেছে মেট্রো ও পুরসভা কর্তৃপক্ষ।




২০১৯-এর আতঙ্ক ফিরেছে বউবাজারে। বুধবার সকালে প্রথমে রাস্তায় ফাটল চোখে পড়েছিল। ওই দিন সন্ধেয় এলাকায় কম্পন শুরু হয়, একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি বাড়ি, দোকানে ফাটল দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সকালে নতুন করে বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা যায় বলে দাবি স্থানীয়দের। রাত থেকেই পুলিশ বাড়িগুলি ফাঁকা করতে শুরু করে। এরপর এলাকা পরিদর্শন করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘটনার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেন তারা। ফাটল ধরা বাড়িগুলি পুরোপুরি ভেঙে ফেলতে হবে নাকি মেরামতি করলেই হবে, তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

বউবাজারে মাটির নীচের অংশ দিয়ে মেট্রোর সুড়ঙ্গ থাকায় যাবতীয় বিপত্তি তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই এবার দফায়-দফায় গ্রাউটিংয়ের কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবারই কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা বউবাজারের ফাটল ধরা বাড়িগুলি ঘুরে দেখেছেন। লাগোয়া বাড়িগুলির অবস্থাও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা।

Previous articleশ্রীলঙ্কায় এবার প্রধানমন্ত্রীর পদে রনিল
Next articleThomas Cup: টমাস কাপে ইতিহাস তৈরি করল ভারত, ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করল ভারতীয় শাটলাররা