DYFI: বেলাশেষে বাংলাই পেল সম্পাদক, বয়সজনিত কারণে অভয়-বিদায়

সিপিআইএমের (CPIM) যুব সংগঠন DYFI-এর একাদশতম সর্বভারতীয় সম্মেলনের শেষে সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে একঝাঁক নতুন মুখ। এদিন রবিবার সল্টলেকের ইজেডসিসি (EZCC) তে সম্মেলন থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাংলার যুবকর্মী হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য (Himaghnaraj Bhattacharya) ও সভাপতি হলেন কেরলের এ এ রহিম (AA Rahim)। সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে যদিও একটি বিষয় পরিষ্কার যে আলিমুদ্দিন এখনও কম যায় না। অর্থাৎ দলের যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বাংলা থেকে হওয়ায় উচ্ছসিত রাজ্য সিপিআইএমের। হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডিওয়াইএফআই-এর সম্পাদক ছিলেন এবং সেই সময় থেকেই তিনি সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়।

একাদশতম এই সম্মেলন থেকে উঠে এসেছে সকলের জন্য শিক্ষা প্রদানের কথা। একই সাথে বলা হয়েছে সাম্প্রদায়িক হানাহানি রুখতে যেকোন পর্যায়ে আন্দোলনে যেতে পারে ডিওয়াইএফআই এবং মোদি সরকারের কর্মসংস্থানহীনতার কথাও উল্লেখ করে দেশব্যাপী যুব আন্দোলনের কথা বলা হয়েছে এই সম্মেলনে।

তবে ডিওয়াইএফআই-এর এই সম্মেলন থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, CPIM-র মতো তারাও বৃদ্ধতন্ত্রকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। যুব সংগঠন হল যুবক-যুবতীদের। তাই সংগঠনের অভ্যন্তরে থাকা ব্যক্তিদের বয়সের সীমা ৩৮ বাঁধা হয়েছিল, আর সেই নিয়ম মেনেই অভয় মুখোপাধ্যায়কে বিদায় দিয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হল হিমঘ্নকে। যদিও সভাপতি পদে পূর্ববর্তী এ এ রহিম-ই রইলেন। বঙ্গ সিপিএমের নেতৃত্বরা যদিও বলছেন ডিওয়াইএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলার প্রভাব প্রায় আটের দশক থেকে। সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকে কখনও হান্নান মোল্লা আবার কখনও মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরাও সামলেছেন এই পদ। এবারের সম্মেলনেও সেই রীতিই বজায় থাকল।

আরও পড়ুন- কলকাতায় ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ, গ্রেফতার ৯

Previous articleদিল্লির অগ্নিকাণ্ডে নয়া তথ্য, গ্রেফতার বিল্ডিংয়ের মালিক
Next articleThomas Cup Final: ইতিহাস গড়ে থমাস কাপ জয় ভারতের, টুইটে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী থেকে শাহ-বিরাট-সাইনাদের