পার্থর নাম জড়িয়ে পিংলায় স্কুল নিয়ে কুৎসামূলক প্রচারে নামল ‘গণশক্তি’

SSC নিয়োগ মামলা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। আর সেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বাংলায় সাইনবোর্ড হয়ে যাওয়া সিপিআইএম (CPIM)। দলীয় মুখপত্র ‘গণশক্তি’-তে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নাম জড়িয়ে কুৎসামূলক প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জড়াতে পারেন না। দলের তরফেও জানানো হয়েছে, এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আর সত্যিই যদি ওই এলাকায় আন্তর্জাতিকমানের স্কুল তিনি কে থাকেলন তাতে এলাকার উন্নয়নই হয়েছে। এবং এটা একান্তই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ব্যক্তিগত বিষয়, এর সঙ্গে দলের যোগ নেই।

কী লেখা হয়েছে এই প্রতিবেদনে?

পিংলা ব্লকের খীরিন্দা মৌজায় ঝাঁ চকচকে বৈভবের গন্ধমাখা বিরাট অট্টালিকা, যা আসলে একটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (School)। নোট বাতিলের কারখানার নামে জমি হাতিয়ে সেখানেই কি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির পরিবারের সদস্যের নামে এই ইন্টারন্যাশনাল স্কুল খোলা হয়েছে? …
স্কুল বাদে পাশাপাশি আরও দুটি প্লটে জমি কিনে তৈরি হয়েছে বাগানবাড়ি। সব মিলিয়ে ২৭ বিঘা জমি, অর্থাৎ ৫৪০কাঠা। প্রায় দেড়লক্ষ বর্গফুট। বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি। স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে আধুনিক মডেলের ৬-৭ টি বাস সহ অনেকগুলি ছোট চার চাকার গাড়ি। প্রায় ১৫ বিঘা অর্থাৎ তিন কাঠা জমির উপর গড়ে উঠেছে এই স্কুল। নাম বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। পার্থ চ্যাটার্জির প্রয়াত স্ত্রী বাবলি চ্যাটার্জি নামেই স্কুল বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। … পিংলা থানার খীরিন্দা মৌজায় স্কুলটি কার? এমন প্রশ্ন করলে স্থানীয়রা সবাই বলছেন মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি নিজের তত্ত্বাবধানে এই স্কুল গড়েছেন। বহুবার তিনি কলকাতা থেকে এখানে এসেছেন। স্থানটি ১৬ কিলোমিটার পশ্চিমে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় ৩০০ কাটা জুড়ে অনেকগুলি ভবন তৈরি হয়েছে গায়ে গায়ে। পাশেই এখন হস্টেল তৈরির কাজ চলছে। এই স্কুলে ভর্তির ফিস ১৫ হাজার টাকা মাসিক বেতন, ২৪০০ টাকা। যাতায়াতের জন্য আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা দিতে হয় প্রতি ছাত্র-ছাত্রীকে।

এই বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে ‘গণশক্তি’ কুৎসায় করায় ক্ষুব্ধ পিংলার তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, এই প্রতিবেদনের কোনও ভিত্তি নেই। পার্থ এরকম অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকতেই পারেন না বলে মত তাঁদের। তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই রকম একটি জায়গায় ভালো স্কুল করেও থাকেন, তাতে এলাকার উন্নয়নই হয়েছে। তাছাড়া, এটি একেবারেই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে দলে কোনও যোগ নেই। একটিও দলের ক্ষমতা তলানিতে ঠেকায়, এখন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের কালিমালিপ্ত করে প্রাসঙ্গিক থাকতে চাইছে সিপিআইএম। মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- রাজ্যে লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নাম সুপারিশ, প্রচুর নিয়োগ পুলিশেও

Previous articleDinesh Karthik: ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন কার্তিকের, দলে ফিরে আবেগঘন বার্তা ডিকের
Next articleআপনাকে স্বাগত: জাপানি বালকের মুখে হিন্দি শুনে মুগ্ধ মোদি