‘ধন্যবাদ’ জানাতে আমসত্ত্ব নিয়ে মালদহ থেকে সাইকেল নিয়ে পাড়ি খুদে ‘কন্যাশ্রী’র

মালদহের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ সরকারি আধিকারিকদের লিখিতভাবে নিজের মনের ইচ্ছের কথা জানিয়েছে সায়ন্তিকা। মালদহ থেকে রওনা দিয়ে কৃষ্ণনগর হয়ে বৈদ্যবাটি ,ডানকুনির পথ ধরে কালীঘাট পৌছবেন সায়ন্তিকা।

মালদহ থেকে সাইকেল( Cycle)চালিয়ে সোজা কলকাতা পাড়ি দিচ্ছে আট বছরের সায়ন্তিকা দাস(Sayantika Das)।ইচ্ছে ‘দিদি’কে একবার সামনে থেকে দেখবে আর নিজের পরিবারের তরফে জানাবে কৃতজ্ঞতা । কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandypadhyay) কারণেই বদলে গিয়েছে তাদের পারিবারিক অবস্থা। দুই দিদি পড়াশোনা থেকে শুরু করে এক দিদির বিয়ের খরচও দিয়েছে রাজ্য সরকার( (Government of West Bengal)।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্পে আর্থিক সচ্ছলতার মুখ দেখেছে সায়ন্তিকার পরিবার এবং সমাজের সর্বস্তরের ছাত্রছাত্রীরা। সায়ন্তিকা নিজেও নিখরচায় পড়াশুনো করছে দিদির কারণেই। তাই শুধু নিজের জন্যই নয় সব ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধি হয়েই সে ধন্যবাদ জানাতে যাবে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি আর সঙ্গে প্রিয় দিদির জন্য নিয়ে যাবে আমসত্ত্ব ও গোলাপজাম কারণ মালদহ গিয়ে সেই জেলার প্রসিদ্ধ আমসত্ত্ব খেতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিদির সেই ক্ষুদ্র ইচ্ছে পূরণ করতে পারলে সার্থক হবে তার যাত্রা। কেন এমন ইচ্ছে হল সায়ন্তিকার জিজ্ঞেস করায় চটপট উত্তর দিল সে,’মমতাদির প্রকল্পের জন্য সে আর তার দুই দিদি আজ শিক্ষিত হতে পারছে’।কলকাতায় গিয়ে তাই মমতাদিদিকে ধন্যবাদ জানাতে চায় সে।

 

বাড়ি ইংরেজবাজার পুর এলাকার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনস্কামনা পল্লির এক চিলতে টালির ঘরে থাকে দ্বিতীয় শ্রেণির খুদে পড়ুয়া সায়ন্তিকা। তার বাবা প্রদীপ দাস পেশায় গাড়িচালক।মায়ের নাম উমা গৃহবধূ। দুই দিদি এবং বাবা-মাকে নিয়ে তাঁদের পাঁচজনের  অভাবের সংসার। সায়ন্তিকার দুই দিদির পড়াশোনা যখন বন্ধের মুখে তখন  মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’প্রকল্প তাঁদের ভরসা জোগায়। রাজ্য সরকারের ওই প্রকল্পের জন্যই সায়ন্তিকার এক দিদি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরেক দিদি কলেজে পড়ে।   এরপর‘রূপশ্রী’প্রকল্পের সাহায্যে তার এক দিদির বিয়েরও ঠিক হয়েছে। ভাল আছে তার পরিবার।আগামী ২৬ মে সাইকেল চালিয়ে কলকাতায় রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে সায়ন্তিকা।মালদহের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ সরকারি আধিকারিকদের লিখিতভাবে নিজের মনের ইচ্ছের কথা জানিয়েছে সায়ন্তিকা। মালদহ থেকে রওনা দিয়ে কৃষ্ণনগর হয়ে বৈদ্যবাটি ,ডানকুনির পথ ধরে কালীঘাট পৌছবেন সায়ন্তিকা।

অভাবনীয় উদ্যোগ পুলিশের: বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলে অবৈতনিক কোচিং সেন্টার
মঙ্গলবার সায়ন্তিকার মা উমা বলেন, ‘‘নিজে আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বেশি পড়াশোনা করতে পারিনি। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর্থিক কারণে মেয়েদের পড়াশোনাও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যেত, যদি ‘কন্যাশ্রী’ না থাকত। আমার ছোট মেয়ে মমতাদির প্রচণ্ড ভক্ত।’’একা সায়ন্তিকা নয় তাঁর সঙ্গে যাবে দুই দিদিও মমতার কালীঘাটের বাড়িতে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পূজা দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বাচ্চাটিকে উৎসাহ দিতে সব রকম সহযোগিতা করব।

Previous articleঅভাবনীয় উদ্যোগ পুলিশের: বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলে অবৈতনিক কোচিং সেন্টার
Next articleঅর্থের অপব্যবহার নয়: পুর-চেয়ারম্যানদের বৈঠকে কড়া বার্তা পুরমন্ত্রীর, ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের নিয়ম বদল