টার্গেট ২০২৪: একাধিক গ্রুপ গঠন মরিয়া কংগ্রেসের, আছেন কানুগোলু, স্থান নেই অধীরের

নামেই জাতীয় দল। হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্য ছাড়া বেশিরভাগ জায়গাতেই কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দল। এই পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঝাঁপাতে চাইছে কংগ্রেস।

হালে পানি পেতে এবার একাধিক কমিটি গড়ল কংগ্রেস (Congress)। সেখানে ২০২৪-র লোকসভা ভোটের কৌশল নির্ধারণের জন্য প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) একসময়ের সঙ্গী সুনীল কানুগোলুকে (Sunil Kanugolu) টিমে নিল কংগ্রেস। কমিটিতে রয়েছেন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতারা। তবে, বাংলায় কংগ্রেসের হয়ে শাসকদলকে ক্রমাগত আক্রমণ করা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhuri) জায়গা হয়নি কোনও কমিটিতেই।

নামেই জাতীয় দল। হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্য ছাড়া বেশিরভাগ জায়গাতেই কার্যত সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দল। এই পরিস্থিতিতে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঝাঁপাতে চাইছে কংগ্রেস। দলকে উজ্জীবিত করতে যে ভোটকুশলীর প্রয়োজন আছে তা বুঝতে পেরেই কমিটিতে রাখা হয়েছে সুনীল কানুগোলুকে। তবে, একটি নয়, হাত মজবুত করতে একাধিক কমিটি তৈরি হয়েছে।

GTA নির্বাচনের দিন ঘোষণা: কবে ভোট, কবে ফল প্রকাশ?

পলিটিকাল অ্যাফেয়ার্স গ্রুপ তথা রাজনীতি বিষয়ক গোষ্ঠী বা কমিটি গড়া হয়েছে। তাতে রয়েছেন গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মাদের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদের। সঙ্গে রয়েছেন সুনীল কানুগোলুকেও। এই গ্রুপের মাথায় রয়েছেন সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। সঙ্গে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi), পি চিদম্বরম, অম্বিকা সোনি, দ্বিগ্বিজয় সিং, কেসি বেনুগোপাল ও জীতেন্দ্র সিং।লোকসভা নির্বাচনের জন্য তৈরি ‘টাস্ক ফোর্স ২০২৪’ গ্রুপে রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ, কে সি বেণুগোপাল, অজয় মাকেন, পি চিদাম্বরম, মুকুল ওয়াসনিক, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। সঙ্গে থাকছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, সুনীল কানুগলুও।প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে সুনীলের অনেক মিল রয়েছে। দুজনেই আগে বিজেপির সঙ্গে ও আলাদা সময় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কাজ করেছেন। বিজেপির নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি টিম ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ব্রিলিয়ান্ট মাইন্ডস’ তথা এবিএমের প্রধান ছিলেন সুনীল কানুগলু। মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ম্যাকিনজের তরফে ডেটা অ্যানালিটিক্স নিয়ে কানুগোলু একটি প্রেজেন্টেশন দেন। তখন তিনি ম্যাকিনজের হয়ে কাজ করতেন। পরে মোদি তাঁকে স্ট্র্যাটেজি টিমে নিয়ে নেন। তবে, পিকে-র সঙ্গে সুনীলের পার্থক্যও আছে বিস্তর। তিনি একেবারেই মিডিয়া ফ্রেন্ডলি নন কানুগোলু। স্যোশাল মিডিয়াতেও তাঁকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আড়ালে থেকেই কাজ করতে পছন্দ করেন সুনীল।

এহেন সুনীল কানুগোলুও স্থান পেয়েছেন কমিটিতে। কিন্তু নেই অধীর। তিনি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। বাংলায় যেকোনও বিষয় নিয়ে শাসকদলের বিরোধিতায় গলা ফাটান তিনি। অথচ এতো কমিটির একটিতেও স্থান পাননি অধীর। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিষয়টিকে কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যে অধীরবাবু এতো চিৎকার করেন, এবার দলীয় নেতৃত্বের কাছে দিল্লি গিয়ে দাবি আদায় করুন। কেন তাঁকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল না, কোনও পদে রাখা হল না- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলুন।



Previous articleপ্রবল ঝোড়ো হাওয়া,বৃষ্টির কবলে রোপওয়ে, ৪০ মিনিট ধরে ‘মাঝ-আকাশে’ই ঝুলন্ত ২৮ পুণ্যার্থী
Next articleমহিলাদের কর্মসংস্থানে সব রাজ্যকে পিছনে ফেলে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা