জনজোয়ার: আহত মহিলা সমর্থকের শুশ্রুষার ব্যবস্থা করলেন অভিষেক, মেগা জনসভায় আবেগে ভাসল শ্যামনগর

শ্যামনগর অন্নপূর্ণা কটনমিলের মাঠ ছোটো পড়ল তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার জন্য। মাঠে তিল ধারণের জায়গা নেই দেখে অভিষেক নিজেই বললেন, এই মাঠ ছোট হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনে বারাকপুরে অন্য বড় মাঠে সভা হবে। সোমবার, শ্যামনগরের জনসভা পৌঁছেই তৃণমূলকে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জেতানোর জন্য ধন্যবাদ জানান অভিষেক। তিনি বলেন, মাঠের মধ্যে যত লোক আছে, তার চারগুণ লোক রাস্তায় আছে।

এদিন অভিষেকের জনসভা ঘিরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। দুপুর থেকেই হাজারে হাজারে মানুষের গন্তব্য ছিল অন্নপূর্ণা মাঠ। বেলা ৩টে ৪০ নাগাদ সভা মঞ্চে উপস্থিতি হন তৃণমূল সাংসদ। ৪টে নাগাদ বক্তব্য শুরে করেন তিনি। প্রায় ৩৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যের শুরুর দিকে একজন মহিলা সমর্থক বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হন। বক্তব্য থামিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন অভিষেক। তাঁর জন্য বানানো রেষ্ট রুমে রেখে মহিলার চিকিৎসার নির্দেশ দেন। বক্তব্য শেষে সেই কর্মীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে তারপর কলকাতায় রওনা দেন অভিষেক।

এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সভামঞ্চে উপস্থিতিতে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মঞ্চ আর দর্শকাসনের ব্যবধান ঘুচিয়ে দেন অভিষেক। জানতে চান তিনি কি বিজেপির জন্য দলের দরজাব খুলে দেবেন? কর্মী-সমর্থকদের কাছে থেকে উত্তর আসে ‘না’। অভিষেক বলেন, আপনারা যখন বললেন, তখন আমি দরজা খুলব না। একই সঙ্গে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বারাকপুরের একজন পুরনো তৃণমূল কর্মীর গায়ে আঁচড় পড়লে আমি ছেড়ে কথা বলব না”। অভিষেক স্পষ্ট জানান, যাঁরা সব প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়েও তৃণমূলের পতাকা ধরে রেখেছে, তিনি তাঁদের পাশে থাকবেন। এদিন সভা মঞ্চে তৃণমূলের দুই কর্মীকে ঢেকে নেন, অভিষেক যাঁরা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সময় আক্রান্ত হন। ২০১৯-এ এইদিনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, এই ঘরছাড়ারাই বিজেপিকে বাংলা ছাড়া করেছে। জননেতার আশ্বাস আপ্লুত বারাকপুর। তাঁদের ঘন ঘন হাততালি আর মমতা-অভিষেকের নামে জয়ধ্বনি বুঝিয়ে দিয়েছে এদিনের সভায় বারাকপুরের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের পরই সিল বলরামপুরের সেই দোকান, আটক ২

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের পরই সিল বলরামপুরের সেই দোকান, আটক ২
Next article‘পশ্চিমবঙ্গ ফাইলস’! বাংলা বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর, তীব্র নিন্দা তৃণমূলের