একনজরে দেখে নিন কে কে-র সঙ্গীতজীবন

প্রয়াত জনপ্রিয় গায়ক কে কে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া শিল্পীমহলে। মঙ্গলবার কলকাতায় কনসার্ট শেষে হোটেলে ফিরে যান তিনি। অসুস্থতা বোধ করায় দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বেসরকারি হাসপাতালে । কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মঞ্চ মাতিয়ে মাত্র ৫৪ বছরেই স্তব্ধ কে কে-এর জীবন।


আরও পড়ুন:কে কে-এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ শ্রেয়া-সনু থেকে শুরু করে গোটা সঙ্গীতমহল


১৯৬৮ সালে দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কে কে। সেখানেই পড়াশোনা, সেখানেই বেড়ে ওঠা। দিল্লি ইউনিভার্সিটির একটি কলেজ থেকে কমার্সে স্নাতক পাশ করেন তিনি। এরপর কিছু সময় মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবেও কাজ করেছিলেন তিনি। সেসব ছেড়ে গানের টানে ১৯৯৪ সালে মুম্বই চলে আসেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ।


জানা যায়, বলিউডে কাজের সুযোগ পাওয়ার আগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জিঙ্গলস গেয়েছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ‘জোশ অফ ইন্ডিয়া’ গান গেয়েছিলেন তিনি। এরপর হিন্দি ছবিতে গান গাওয়া।


কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমার ছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের প্রেরণা। তাঁকে দেখেই মূলত সঙ্গীত জীবনে আসেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কেকে জানান, তিনি আর.ডি বর্মন, মাইকেল জ্যাকসন এবং আরও বেশ কয়েকজন হলিউড গায়কের অনুরাগী ছিলেন ।এ.আর রহমানের হিট গান ‘কাল্লুরি সালে’তে প্রথমবার গান গান কেকে। সেটিই ছিল প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে গাওয়া তাঁর প্রথম গান। কেবলমাত্র হিন্দি গানই নয়, কেকে গান গেয়েছেন একাধিক ভাষায়। বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। ।
‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ‘তড়প তড়প’ গানের হাত ধরে বলিউডে ডেবিউ হয় কে কে-র। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক গান সুপারহিট তকমা পেয়েছে। যেখানে হাত দিয়েছেন, সোনা ফলিয়েছেন কে কে। গোটা মুম্বই কেঁপেছে তাঁর গানের সুরে। স্টেজে তাঁর দাপট ছিল দেখার মতো।তবে কে কে অকালপ্রয়াণের কথা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁর অনুরাগীরা।

Previous articleকেকে-এর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর, কিংবদন্তি শিল্পীকে গান স্যালুট দেবে রাজ্য
Next articleছেলেকে নিয়ে সকালেই কলকাতায় কেকে-র স্ত্রী, তুলে দেওয়া হল সঙ্গীতশিল্পীর দেহ