“বরটা বড়ই বোকা”! KK-রূপঙ্কর বিতর্কে কেন এমন লিখলেন চৈতালি

বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী শিল্পী Kk-কে নিয়ে বাংলার আরেক বিখ্যাত সংগীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর (Rupankar Bagchi) মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় বাংলা। এর প্রধান কারণ, এই মন্তব্যের কিছুক্ষণের মধ্যেই আচমকা প্রাণ হারান KK। সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social Media) তো বটেই, সব জায়গাতেই রূপঙ্করের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার তীব্রতা এমন হয় যে, বাড়িতে হুমকি ফোন আসতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এ প্রেক্ষিতে শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি লিখিত বিবৃতি পাঠ করে ক্ষমা চান রূপঙ্কর। আর এর ঠিক পরের দিন, শনিবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে একটি কবিতা লিখলেন রূপঙ্করের স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ী (Choitali Lahiri)। আর সেখানে রূপঙ্করকে “বোকা বর” বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে, সেটা আক্ষরিক অর্থে নয়, বরং চৈতালির লেখা আসলে রূপঙ্করকে সমর্থন করেই। তার বিরুদ্ধে যাঁরা আওয়াজ তুলেছেন, তাঁদেরকেই কটাক্ষ করেছেন চৈতালি। যদিও কবিতাটিতে কেকে-র প্রসঙ্গ কোথাও নেই। তবে সেটা যে বর্তমান এই পরিস্থিতির সেটা স্পষ্ট।

কবিতাটার নাম ‘রাত জাগা ভোর’। কবিতাটা শুরু হচ্ছে এভাবে-

“স্যোশাল মিডিয়া তোমার দেওয়া আ্যড্রনালিন রাশ,

ছোট্ট পরিবারের জীবনে নামিয়ে এনেছে ত্রাস।

দরকার একটা স্মার্টফোন আর মনে একরাশ ঘৃণা,

জীবনের যত না পাওয়ার যন্ত্রণা আর কিছু বাহানা।

তারপর একটা লম্বা ট্রীপ এমন নেশা কোনো

মাদকেই হয়না,

উত্তেজনা উত্তেজনা—উফফ দাদা জীবনে কী পাবোনা ভুলেছি সে ভাবনা”

 

অর্থাৎ রূপঙ্করের বক্তব্যে ব্যথিত হয়ে নয়, অন্য জায়গায় রাগ তাঁর উপর দেখাচ্ছেন আক্রমণকারীরা।

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0jYpTvFpEVKvaNuV16Azr7ZqpRXuVpgjNJJg8QDeDKRqdyh94wFhxumLLYptw2BFl&id=100001614844025&sfnsn=wiwspwa

“ধরফরিয়ে বুকটা পোড়ে, বরটা বড়ই বোকা

দুনিয়াদারিতে নেহাৎ কাঁচা শিল্প যাপনে মগ্ন থাকা।

এমন কথা কি বলতে হয়, তুমি কি সমাজের হোতা?

কে দিয়েছে মাথার দিব্যি? কেন নড়ল মাথার পোকা?

নিজেকে নিয়ে বাঁচো, নিজের আখের গোছাও ওগো–

মেয়েটার ভবিষ্যৎ আছে, আমার কথাটাও ভাবো।”

যেন সমাজ সংস্কার করতেই এমন পোস্ট করেছেন রূপঙ্কর!

 

রূপঙ্কর তার ভিডিও পোস্টে আরো অনেক বাংলার গায়ক-গায়িকা নাম করেছিলেন। কিন্তু এই পোস্ট সামনে আসার পর কেউই রূপঙ্করকে সমর্থন করেনি চৈতালির লেখায় তাঁদেরকেই নিশানা করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ তিনি লিখেছেন,

“ভালোই হল চিনতে পেল বন্ধু এবং বাসা

সময় চেনায় কোনটা সত্যি আর কোনটা মরিচীকা”

 

তবে, অসময়ে কিছু মানুষ পাশে ছিলেন বলেও কবিতায় লিখেছেন রূপঙ্করের স্ত্রী।

 

শুক্রবার রূপঙ্করের লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা এই সমালোচনার আগুনে খুব একটা জল ঢালেনি। উল্টে KK- সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য তাঁর ক্ষমা না চাওয়া আর ওইভাবে শুধুমাত্র একটি লিখিত বিবৃতি পড়ে চলে যাওয়াকে অনেকেই দম্ভের নামান্তর এবং ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলের’ চেষ্টা বলেই উল্লেখ করছেন। আর পরের দিনই চৈতালির এই কবিতা সেই সমালোচনাই আরও উসকে দিল।

 

 

 

Previous articleTrain : কাজ বাকি, ৪ জুন -৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যান্ডেলে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা
Next articleSunil Chhetri: অবসর নিয়ে কী বললেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী?