ভারতের আয়কর তদন্ত শাখার মুম্বাই ইউনিট রিলায়েন্স (অনিল ধীরুভাই আম্বানি) গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে ২০১৫-এর ব্ল্যাক মানি অ্যাক্ট এর ১০(৩) ধারার অধীনে চূড়ান্ত নোটিশ দিয়েছে। জানা গিয়েছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, শিল্পপতি অনিল আম্বানি ইংল্যান্ডের একটি আদালতে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ‘দেউলিয়া’ এবং তার সম্পত্তির মোট মূল্য “শূন্য”।
ঠিক দু’বছর পর, ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভারতের আয়কর তদন্ত শাখার মুম্বাই ইউনিট রিলায়েন্স (অনিল ধীরুভাই আম্বানি) গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে ২০১৫-এর ব্ল্যাক মানি অ্যাক্ট এর ১০(৩) ধারার অধীনে চূড়ান্ত নোটিশ দিয়েছে। ঐ নোটিশে বাহামা এবং ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে তিনটি সংস্থা এবং লিঙ্কযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে ৮০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেনের বিবরণ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ব্ল্যাক মানি অ্যাক্ট -এর অধীনে অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রূপকে প্রথম নোটিশ পাঠানো হয়েছিল ২০১৯ সালে। বাহামাতে অনিল আম্বানি ২০০৬ সালে একটি অফশোর কোম্পানি, ড্রিমওয়ার্ক হোল্ডিংস ইনকর্পোরেটেডের সাথে ডায়মন্ড ট্রাস্ট স্থাপন করেন। ফরেন ট্যাক্স অ্যান্ড ট্যাক্স রিসার্চ (এফটিটিআর) বিভাগের মাধ্যমে সেন্ট্রাল বোর্ড ফর ডাইরেক্ট ট্যাক্স (সিবিডিটি) বাহামাকে পাঠানো অনুরোধের পর, ইউবিএস ব্যাঙ্কের জুরিখ শাখায় একটি লিঙ্কের অস্তিত্ব প্রকাশ্যে আসে। উত্তর আটলান্টিক ট্রেডিং আনলিমিটেড নামে অপর একটি অঘোষিত অফশোর কোম্পানি, ২০১০ সালে অনিল আম্বানি ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এই কোম্পানির ব্যাঙ্ক অফ সাইপ্রাসের সাথে একটি লিঙ্কযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। এই সংস্থাটি ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ দ্বারা তালিকাভুক্ত সম্প্রতি প্রকাশিত “প্যান্ডোরা পেপারস” তদন্তে অনিল আম্বানির সাথে যুক্ত ১৮টি সংস্থার মধ্যে ছিল। এর আগে ২০১৫ সালে, “সুইস লিকস” তদন্তে জানা যায় যে অনিল আম্বানি ১,১০০ জন ভারতীয়ের মধ্যে ছিলেন যাদের এইচএসবিসি-এর জেনেভা শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট ছিল। ২০০৬-০৭ সালের এইচএসবিসি অ্যাকাউন্টে তার ব্যালেন্স ছিল ২৬.৬ মিলিয়ন ডলার।