স্ত্রীর কব্জি কাটার ঘটনায় কেতুগ্রাম থেকে গ্রেফতার অভিযুক্তর বাবা-মা

স্ত্রী সরকারি চাকরি পেয়েছেন। তাই তাঁর স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় স্ত্রী, রেণুর কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী শের মহম্মদের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই ফেরার মূল অভিযুক্ত। ওই ঘটনায় রেণুর শ্বশুড়-শাশুড়িকে গ্রেফতার করল কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।মঙ্গলবার তাদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে।



আরও পড়ুন:KK বিতর্কের পর প্রথমবার স্টেজ-শো রূপঙ্করের, শিল্পীকে একের পর এক গানের অনুরোধ


পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোরে বাসে চেপে পালানোর ছক কষেছিলেন অভিযুক্ত শের মহম্মদের বাবা ও মা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম গ্রাম থানার পুলিশ চাকটা বাসস্ট্যাণ্ড থেকে গ্রেফতার করে তাঁদের। শেখ মহম্মদের হদিশ পেতে তাঁর বাবা সিরাজ শেখ এবং মা মেহেরনিকা বিবিকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তারা।তবে এখনও মূল অভিযুক্ত রেণুর স্বামী এখনও অধরাই।




উল্লেখ্য, বেসরকারি হাসপাতালে বহুদিন ধরেই চাকরি করতেন রেণু। এরপর সরকারি হাসপাতালে চাকরি পান রেণু। এরপরই স্বামী আশঙ্কা করেন তাঁকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন রেণু। এরপরই শনিবার রাতে কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকাকালীন গভীর রাতে তাঁর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় ডান হাতে। কব্জি থেকে কেটে যায় হাত। রক্তাক্ত অবস্থাতেই রেণুকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত। পরে দুর্গাপুরের এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। খবর দেওয়া হয় রেণুর বাপেরবাড়িতে। মহিলার বাড়ির লোকের দাবি, তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছতেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় তাঁদের জামাই।

Previous articleঅনলাইন পরীক্ষার দাবিতে রাতভর অবস্থান, মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল কলেজে আটকে অধ্যক্ষা-সহ একাধিক অধ্যাপক
Next articleIndian Team: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি শুরু রাহুলদের, ভিডিও প্রকাশ বিসিসিআইয়ের