Delhi High Court:  বিবাহবিচ্ছিন্না দিদি বা বোনের আর্থিক প্রয়োজনে ভাই বা দাদার পাশে দাঁড়ানো উচিত,  পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ভারতের বহু উৎসব, পরব রয়েছে, যেগুলি ভাই-বোন তথা পরিবারের মধ্যে স্নেহ, যত্ন, কর্তব্য এবং দায়িত্বের মতো অনুভূতিগুলোকে শক্তিশালী করে। তাই সত্যিকারের বোনের দুঃসময়ে ভাই পাশে থাকবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

বিবাহবিচ্ছিন্না কোনও দিদি বা বোনের আর্থিক প্রয়োজনের সময় ভাই বা দাদা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারেন না। দিদি বা বোনের যদি আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে দাদা বা ভাইয়ের তাঁর পাশে দাঁড়ানো উচিত।বুধবার একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ করল দিল্লি হাইকোর্ট।

এদিন দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi high court) একটি বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে এক মামলাকারী প্রশ্ন তোলেন, কী ভাবে তাঁর বিবাহবিচ্ছিন্না ননদ প্রাক্তন স্বামীর উপর আর্থিক ভাবে নির্ভর করতে পারেন? এই মামলাকে ভিত্তিহীন আখ্যা দেয় আদালত।বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ভারতের বহু উৎসব, পরব রয়েছে, যেগুলি ভাই-বোন তথা পরিবারের মধ্যে স্নেহ, যত্ন, কর্তব্য এবং দায়িত্বের মতো অনুভূতিগুলোকে শক্তিশালী করে। তাই সত্যিকারের বোনের দুঃসময়ে ভাই পাশে থাকবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন- বিরিয়ানি বাক্সে সোনা যায় বিজয়নের কাছে! কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

বিচারপতি শরণাকান্ত শর্মা ( Justice sharanakanta sharma) বলেন,  এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই। ভারতের মতো দেশে ভাই-বোনের সম্পর্কের বন্ধন সব সময় অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে না। কিন্তু ভাই বা বোনের আর্থিক প্রয়োজন হলে কিংবা, অন্য কোনও দুঃসময়ে তাঁরা পরস্পরের পাশে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। শুধু তাই-ই নয়, আদালত আরও জানায় যে কোনও সম্পর্ক কখনও কোনও গাণিতিক সূত্র মেনে চলতে পারে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী তা বদলায়। আর সেদিকে বিবেচনা করেই আদালত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সব শেষে দিল্লি হাই কোর্ট জানায়, কারও বিবাহবিচ্ছিন্না বোন বা দিদি তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছে আইনত ভরণপোষণ দাবি করতেই পারেন। তেমনই কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে সেই দিদি বা বোনের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হলে ভাই বা দাদারও পাশে দাঁড়ানো উচিত।


 

Previous articleনূপুর শর্মাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করল দিল্লি পুলিশ
Next articleডেটা পুড়িয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ আপনার কান গরম করে, আর রোদ্দুরের পকেট!