সেনা বাহিনীতে অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা-সহ একাধিক রাজ্যে যুবকরা এই প্রকল্পের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। এই পরিস্থিতিতে অগ্নিপথে নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম শিথিল করল মোদি সরকার।

আরও পড়ুন:মা অসুস্থ, শুক্রবারের ইডির দফতরে হাজিরা দিতে পারবেন না রাহুল


শুক্রবার সকালে কেন্দ্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২৩ বছর পর্যন্ত করা হচ্ছে। গত দু’বছরে সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। এই বিষয়টি সম্পর্কে সরকার যথেষ্ট সচেতন। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২২ সালে প্রস্তাবিত অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন ছাড় দেওয়া হবে।

Govt says #Agniveers will be given priority in the recruitment of Central Armed Police Forces and State Police. There is a misconception that the future of Agniveers is insecure. It says, for those wishing to be entrepreneurs they will get a financial package & bank loan scheme. pic.twitter.com/bpBQ008OsK
— All India Radio News (@airnewsalerts) June 17, 2022
বুধবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছিল, অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পে ১৭ থেকে ২১ বছর বয়সের তরুণেরা চার বছরের জন্য সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীতে চাকরি পাবেন। আর এরপরই বাড়তে থাকে ক্ষোভ। ফলে সেই নিয়ম বদলে এবার বয়সের ঊর্ধ্বসীমা করা হল ২১ থেকে ২৩৷ এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন এবং চার বছর পরে ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকা এককালীন অর্থ দেওয়া হবে। তবে ২৫ শতাংশের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণের চাকরি স্থায়ী করা হবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই অস্থায়ী চাকরির মাধ্যমে ‘নিয়মিত ক্যাডার সেবায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনের সুযোগ’ থাকছে।


নয়া প্রকল্পে চার বছরের মেয়াদ শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ২৫ শতাংশকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। বাকি ৭৫ শতাংশ আর সেনাবাহিনীতে রাখা হবে না। সেই সময় তাঁদের দেওয়া হবে ১০-১১ লক্ষ টাকা ভাতা, যা হবে সম্পূর্ণ করমুক্ত। কিন্তু যাদের রাখা হবে না তারা সেনাবাহিনীর অবসরকালীন কোনও সুযোগসুবিধা পাবেন না। এমনকি নিজেদের প্রাক্তন সেনাকর্মীও বলতে পারবেন না। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা-সহ একাধিক রাজ্যে যুবকরা এই প্রকল্পের প্রতিবাদে পথে নেমে পড়েন। রাস্তা, ট্রেন অবরোধ থেকে শুরু করে ভাঙচুর আগুন কিছুই বাদ যায়নি এই প্রতিবাদী আন্দোলনে।
