সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সুবিধার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করেছে রাজ্য সরকার।কিন্তু এই কার্ড নিয়ে নানান অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল বিভিন্ন জায়গা থেকে। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে মান্যতা দিতে হবে বেসরকারি হাসপাতাল–নার্সিংহোমকে। তারপরেও অভিযোগ আসছিল। তাই এবার স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে আরও কড়া মনোভাব নিল রাজ্য সরকার৷ স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা মিলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য এবং জেলাস্তরে নজরদারি দল তৈরি করল রাজ্য সরকার৷

রাজ্যস্তরে নজরদারি চালাবেন হেলথ সার্ভিসেস ডিরেক্টর। সেইসঙ্গে প্রত্যেকটি জেলাতে সংশ্লিষ্ট জেলার চিফ মেডিকেল অফিসারকে চেয়ারম্যান করে নজরদারি দল গঠন করা হয়েছে। এই দল ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করবে বিভিন্ন হাসপাতালে। কোনও রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা পেতে সমস্যা হলে নজরদারি দল তা খতিয়ে দেখবেন। কোন কোন হাসপাতাল ও নার্সিংহোম তারা পরিদর্শন করলেন সেই রিপোর্ট নিয়মিত আপলোড করতে হবে স্বাস্থ্যসাথী পোর্টালে। কোনও হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠলে, আইন মেনে কড়া পদক্ষেপ নেবেন নজরদারি দল। এমনকি নজরদারি দলকে হাসপাতাল পরিদর্শনের সংখ্যাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মাসে অন্ততপক্ষে ৬ টি বেসরকারি হাসপাতাল তাদের পরিদর্শন করতে হবে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিকবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।সম্প্রতি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন৷ তারপরই এই নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন৷সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধ করতে এই কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।
