সঙ্গীতের মধ্যেই আপনি পেতে পারেন মুক্তি, বিষন্নতা কাটিয়ে মন ভাল করার হদিশ। এই মন্ত্রেই কলকাতার পাশাপাশি জেলাজুড়েই পালন করা হল বিশ্বসঙ্গীত দিবস। মঙ্গলবার রবীন্দ্র সদনে এই বিশেষ দিনে সঙ্গীত সম্রাট ওস্তাদ আলাদুদ্দিন খাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। ছিলেন সরোদবাদক দেবজ্যোতি বোস, সঙ্গীত শিল্পী সৈকত মিত্র এবং তবলাবাদক শুবেন চট্টোপাধ্যায়। এই বিশেষ দিনটি স্মরণ করে হয় একাধিক অনুষ্ঠানও। নেট মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে বহু নবাগত শিল্পীর।

এর সূত্রপাত ১৯৮২ সালের ২১জুন। এই দিনটিকে ফ্রান্সে প্রথম সঙ্গীত দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই গোটা বিশ্বে এই দিনটিকে সঙ্গীত দিবস হিসাবেই পালন করা হয়।
গানে গানে যেকথা সহজে বলে দেওয়া যায়, তা কথ্য ভাষায় ব্যক্ত করা অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। একটা গান এক বীতশ্রদ্ধ জীবনকে সুন্দরের পথ দেখায়। সুস্থতার অবকাশ এনে দেয়। রবীন্দ্র সঙ্গীতে যেন মিশে আছে সেই সব পেয়েছি চাবিকাঠি। জীবনের প্রতিটি বাঁককে রঙীন করে পেতে চাইলে রবীন্দ্র গানের কোনও বিকল্প হয় না। এমন প্রাসঙ্গিকতা আর কোথায়। মন খারাপ কাটাতে গান শুনুন, মনে হবে কবিগুরু এ গান আপনার জন্যই লিখেছেন। এখানেই সঙ্গীতের স্বার্থকতা। যেখানে “সব সুর এসে মিলে গেছে শেষে তোমার ও দুটি নয়নে নয়নে…।”
সুর, তাল, ছন্দ সব এক সুতোয় মিলে তৈরি হয় একটি গান (Songs)। মন খারাপ কিংবা ভাল যে কোনও আবেগ নিমেষে পরিবর্তন করার ক্ষমতা শুধু সঙ্গীতের (Music) আছে। সত্যি কথা বলতে সঙ্গীতপ্রেমীদের (Music Lovers) জন্য আলাদা কোনও দিনক্ষণ হয় না। এই বছর ‘মিউজিক অ্যান্ড ইন্টারসেকশনস’ থিম রেখে বিশেষ দিনটি উদযাপন হয়।
