আরো একটি ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি রাজ্যপালকে

আরো একটি ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল রাজ্যপালকে। ট্যাক্সেশন ট্রাইব্যুনালের পর এবার ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনালের সভাপতি ও বিচারবিভাগীয় সদস্য নিয়োগের দ্বায়িত্ব রাজ্যপালের হাত থেকে সরিয়ে রাজ্য সরকার নিজের হাতে নিতে চায়। তার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনের একটি সংশোধনী শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে। ওই বিল আইনে পরিণত হলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্যই এই ট্রাইব্যুনালের সভাপতি ও বিচার বিভাগীয় সদস্যের পদ পূরণ করতে পারবে ।

বিলের ওপর আলোচনার শেষে জবাবি ভাষণে ভূমি দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ট্রাইব্যুনালের সদস্য নিয়োগের ফাইল রাজ্যপালের কাছ থেকে বার বার ফেরত আসছিল। ফলে ট্রাইব্যুনালের কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। তাই আইন পরিবর্তনের উদ্যোগ। মন্ত্রীর দাবি, বিচার ব্যবস্থার ওপরে এই সরকারের কখনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নিয়ন্ত্রণ করার কোনোও প্রচেষ্টাও করবে না। শুধু প্রশাসনিক সদস্য ও বিচারবিভাগীয় নিয়োগের জন্য রাজ্যপালের বদলে সরকার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে পদক্ষেপ করবে। বিরোধী বিজেপি এই বিলের বিরোধিতা করে একে বিচার বিভাগের ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রচেষ্টা বলে অভিযোগ করেছে। আলোচনার শেষে ধ্বনি ভোটে বিলটি সভায় গৃহীত হয়।

নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনালের শীর্ষপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের জায়গায় রাজ্যকে ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র পেয়েছে। উল্লেখ্য, জমি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধানের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে এই ট্রাইব্যুনাল। এই মুহূর্তে এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শঙ্কর আচার্য। আগামী আগস্টে তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই ট্রাইব্যুনালে আরও তিনজন জুডিশিয়াল মেম্বার ও তিনজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেম্বার আছেন। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ মেম্বারের একটি পদ এই মুহূর্তে ফাঁকা রয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

 

প্রশাসনিক মহলের খবর, মূলত ট্রাইব্যুনালগুলির শীর্ষপদে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সারতেই এই পদক্ষেপ। পাশাপশি, সমস্ত ট্রাইব্যুনালে একইরকম নিয়ম বজায় রাখতেও এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেন্যান্সি (সংশোধনী) বিল এনে চেয়ারম্যান পদে থাকার বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৮ বছর করেছিল রাজ্য। পাশাপাশি, অন্য সদ্যসদের বয়সও ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করা হয়েছে।

 

Previous articleEM Bypass: মেট্রোর কাজে বিপত্তি, ফের ধস নামল ই এম বাইপাসে
Next articleসোমবার থেকে খুলছে স্কুল, শিক্ষকদের যেতে হবে শনিবার থেকেই