টালমাটাল মহারাষ্ট্র! উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গ ছাড়ছেন বিধায়ক-সাংসদরা

একে একে উদ্ধবের ঠাকরের সঙ্গ ছাড়ছেন বিধায়করা।  যত সময় যাচ্ছে, ততই অঙ্কের দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছেন তিনি। শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়ক একনাথ শিণ্ডের দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন শিবসেনার ৩৭ জন বিধায়ক।। শুধু তাই নয়, শিণ্ডের দাবি, আরও ৮ জন বিধায়ক তাঁর শিবিরে যোগ দেবেন। স্বভাবতই মহাসংকটে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। তবে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার আবার ট্র্যাকে ফিরে আসবে বলে আত্মবিশ্বাসী এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার৷


আরও পড়ুন:Maharastra: বিধায়কদের লুকিয়ে রাখতে ঢালাই খরচ, নেপথ্যে কে!


বৃহস্পতিবার রাতে শিণ্ডে  শিবিরের তরফে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, শিব সেনার ৪২-সহ তাঁদের কাছে মোট ৪৯ জন বিধায়ক রয়েছেন। একটি ভিডিওতে গুয়াহাটির হোটেলে বিজেপির হেফাজতে থাকা অনুগামী বিধায়কদের উদ্দেশে‌ শিণ্ডেকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘একটি জাতীয় দল আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। তারা বলেছে আমাদের একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবার সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবার মত চাওয়া হবে।’শুক্রবার ফের তিনি দাবি করেন, বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে ৫০ হয়েছে। শুধু বিধায়করা নন, শিণ্ডের শিবিরে এবার যোগ দিচ্ছেন সাংসদরাও।ইতিমধ্যেই তাঁরা গুয়াহাটি পৌঁছে গিয়েছেন।


বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেন, ‘‘আস্থাভোটেই স্থির হবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কার সঙ্গে।’’ আর পওয়ারের এই মন্তব্যেই নতুন করে বুক বাঁধছেন হতোদ্যম শিবসৈনিকদের একটি অংশ। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ পাওয়ার বলেছেন, ‘‘সবাই জানে কী ভাবে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের প্রথমে গুজরাত এবং তার পর অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুটো রাজ্যই বিজেপিশাসিত। কারা ওঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা সবাই বুঝতে পারছে। অসম সরকার কেন ওঁদের সাহায্য করছে? আমি বিশেষ কারও নাম করতে চাই না। কিন্তু আসল ব্যাপার হল বিধানসভায় আস্থাভোট। তখনই দেখা যাবে।’’



Previous articleআসছে রথযাত্রা! যাত্রী সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত রেলের
Next articleবাদল অধিবেশনে তারার মেলা