সময় যত গড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রে(Maharastra) সংকট বেড়েই চলেছে। শিবসেনা(Shisena) ভেঙে বিধায়কদের নিয়ে গুয়াহাটিতে হোটেলবন্দি হয়েছেন একনাথ শিন্ডে(Eknath Shinde)। এদিকে বিদ্রোহীদের উপর চাপ বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে(Uddhav Thakre)। সোমবার একনাথ শিন্ডে সহ মন্ত্রীসভার ৯ জন মন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পরিবর্তে মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হল ৯ নতুন মুখ। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের এই ডামাডোলের মাঝেই তৎপর হয়ে উঠতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে(ED)। সোমবার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে(Sanjay Raut) তলব করা হল ইডির তরফে। সবমিলিয়ে আরব সাগরের তীরে উত্তেজনার পারদ ক্রমাগত চড়তে শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, সোমবার বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর ৯ জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এই তালিকায় রয়েছেন বিক্ষুব্ধদের প্রধান নেতা একনাথ শিন্ডেও। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে খুব একটা চিন্তিত নন একনাথ। তাঁর লক্ষ্য সরকার ফেলে দেওয়া। যার জেরে এদিন সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা করেছে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী। সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা পিটিশনে একনাথ শিন্ডের তরফে লেখা হয়েছে, ‘মহা বিকাশ অঘাড়ি (এমভিএ) জোট বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে কারণ শিবসেনা পরিষদীয় দলের ৩৮ জন সদস্য তাঁদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে এই সরকার থেকে। এর ফলে এই সরকার সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বিধানসভার অধ্যক্ষের তরফে অনাস্থার আবেদন জানিয়ে একনাথের চিঠি খারিজ হওয়ার পর এদিন সুপিম দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। আপাতত এই মামলার শুনানির দিকে নজর রয়েছে গোটা দেশের। পাশাপাশি, সোমবার বোম্বে হাইকোর্টে একনাথ শিন্ডে এবং অন্যান্য বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, বিদ্রোহী বিধায়করা তাঁদের দায়িত্ব অবহেলা করছে। তাদের ফের অফিসে যাওয়ার নির্দেশনা যাতে দেওয়া হয়, এই দাবিতেই দায়ের করা হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলা।

অন্যদিকে এই চুড়ান্ত ডামাডোলের মাঝে তৎপর হয়ে উঠতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে। সরকার সামলাতে উদ্ধব ঠাকরের সেকেন্ড হ্যান্ড হিসেবে ময়দানে নামা শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে তলব করল ইডি। পুরানো এক জমি দুর্নীতি মামলায় এদিন তলব করা হয়েছে রাউতকে। আগামিকাল সকাল ১১ টায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। তবে মহারাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতির মাঝে ইডির এহেন অতিসক্রিয়তা সন্দেহের নজর এড়াচ্ছে না রাজনৈতিক মহলের।
