গত কয়েক বছরে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি দেশের বিভিন্ন অংশে শক্তি বাড়াতে পারলেও দক্ষিণ ভারতে (South India) এখনও সে ভাবে সাফল্যের খোঁজ পায়নি। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একমাত্র কর্নাটকেই সরকার (Karnataka Government) গড়ছে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে তেলেঙ্গানার বিধানসভা (Telengana Assembly Election) ভোট। ফলে দখিনা হাওয়া তুলতে এবার তেলঙ্গানায় নজর গেরুয়া শিবিরের। আগামিকাল, শনিবার থেকে হায়দরাবাদে বসছে বিজেপির দু’দিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda) থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), রাজনাথ সিংহেরা তো থাকবেনই, অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)। এছাড়াও থাকবেন বিজেপি শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও বিভিন্ন প্রদেশের সভাপতি এবং গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ, বিধায়ক, নেতা, মন্ত্রীরা। এই বৈঠক আয়োজিত হবে হায়দরাবাদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ( Hydrabad International Convention)। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কনভেনশন চত্বর। ভিভিআইপিরা থাকবেন বলে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

Telangana | Banners and flags put up in Hyderabad ahead of BJP’s national executive meeting on July 2-3 pic.twitter.com/y2Ok78iwS2
বিজেপি সূত্রে খবর, দলের পক্ষে ঠিক হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যরা রাজ্যের ১১৯টি বিধানসভা এলাকায় সফর করবেন। শনি ও রবিবার হবে বৈঠক। তবে তার আগে বৃহস্পতিবার প্রায় সব সদস্য হায়দরাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন। বাংলা থেকে যোগ দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ আরও বেশ কয়েকজন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে তেলঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ১১৯ আসন বিশিষ্ট এই রাজ্যে এখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা মাত্র তিন। সেখানে শাসক টিআরএস-এর হাতে রয়েছে ১০৩ জন বিধায়ক। রাজ্যে লোকসভা আসন ১৭টি। তার মধ্যে বিজেপির দখলে মাত্র ৪টি। ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দক্ষিণের এই রাজ্যে বড় লড়াই দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। তাই লোকসভা ভোটের দু’বছর এবং বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তেলেঙ্গানায় বিজেপির দু’দিনের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রাজনৈতিকভাবে খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
