মাহেশে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা উৎসব

৬০০ বছরেও বেশী ইতিহাসের সঙ্গী মাহেশের রথ। বাংলার প্রাচীনতম ও ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম হিসেবে বিখ্যাত শ্রীরামপুরের মাহেশের রথ। পুরীর পর মাহেশের রথযাত্রাকে ঘিরেও আজ সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। সুপ্রাচীন রথ দেখতে সকাল থেকেই ভক্ত সমাগম মাহেশ জুড়ে। দীর্ঘ দু’বছর পরে জগন্নাথ দেবের রথের রশিতে টান পড়বে। আর তা ঘিরেই সকাল থেকে শুরু পুজার্চনা। যে রথ জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হবে তা তৈরি করেছিল মার্টিন বার্ন কোম্পানি।


আরও পড়ুন: রথযাত্রা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট মমতা ও অভিষেকের
মাহেশের এই রথের উচ্চতা ৫০ ফুট, ওজন ১২৫ টন। এই রথে ১২’টি লোহার চাকা আছে। প্রতিটির বেড় হল ১ ফুট করে।রথের একতলায় চৈতন্যলীলা, দ্বিতীয় তলে কৃষ্ণলীলা, তৃতীয় তলে রামলীলা চিত্রিত করা আছে। চার তলায় বসানো হবে বিগ্রহদের। এই রথ চালু করা হয় ১৮৮৫ সালে। আজও সেই রথ নানা ইতিহাস, নানা ঐতিহ্য বহন করে চলে আসছে। প্রতি বছর রথের আগে রথের কাঠ বদলাতে হয়৷ এর জন্য খরচ পড়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। এতদিন শ্যামবাজারের বসু পরিবার এই খরচ বহন করত৷ বর্তমানে এই খরচ দেখভাল করবে রথ সংষ্কার কমিটি।
কথিত আছে পুরীর দেবতা জগন্নাথ নাকি গঙ্গাস্নানের উদ্দেশ্যে মাহেশে এসে সেখানে থেকে যেতে মনস্থ করেন। সেই অনুসারে সেখানে জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয় ইতিহাস-পূর্বকালে। এখানের রথের মেলায় পা পড়েছিল শ্রীরামকৃষ্ণেরও।পুরীকে বলা হয় নীলাচল, আর মাহেশের অন্য নাম নব নীলাচল। এক হাজার শালগ্রাম দিয়ে তৈরী রত্নবেদীতে প্রতিষ্ঠিত তিন দেবতা। নব নীলাচলের এই রথ দেখতে দূর-দূরান্ত থকে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ। আটদিন ধরে চলবে রথযাত্রার অনুষ্ঠান।


 


Previous articleরথযাত্রা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট মমতা ও অভিষেকের
Next articleমহারাষ্ট্রে ক্ষমতা হারাতেই ইডির প্যাঁচে পাওয়ার-রাউত