৮ দিনে বিল ৭০ লক্ষ, সিন্ধেদের গুয়াহাটি যাপনের খরচ মেটালো কে?

মহারাষ্ট্রের সরকার(Maharashtra government) ফেলার রণকৌশল রচিত হয়েছিল গুয়াহাটির বিলাসবহুল হোটেল থেকেই। বিজেপি(BJP) শাসিত অসমের এই হোটেলে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের(Shivsena MLA) আতিথেয়তার কোনও ত্রুটি ছিল না অসমের(Assam) বিজেপি সরকারের। মোট ৮ দিন কাটানো রেডিসন ব্লু হলে বিধায়কদের মোট খরচ পড়েছিল প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই সেই বিলের টাকা শোধও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিপুল এই খরচ মেটাল কে? তার কোনও উত্তর এখনো মেলেনি।

জানা গিয়েছে? মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের জন্য বিলাসবহুল এই হোটেলটির মোট ৭০ টি ঘর বুকিং করা হয়। মূলত সুপিরিয়র ও ডিলাক্স এই ঘরগুলি হোটেলের বিভিন্ন তলায় অবস্থিত। ২২ থেকে ২৯ জুন এই হোটেলে সময় কাটান তারা। বিধায়কদের থাকাকালীন বাইরের অতিথিদের জন্য রেস্তোরাঁ ব্যাংকোয়েট সহ হোটেলের বিভিন্ন পরিসেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ২২ লক্ষ টাকা খাবারের বিল হয়েছিল বিধায়কদের। এছাড়া হোটেল ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মোট খরচ হয় প্রায় ৭০ লক্ষ। তবে কে সে টাকা মিটিয়েছে? তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে হোটেলের এক আধিকারিক জানান, মহারাষ্ট্রের বিধায়করা সাধারণ অতিথি হিসেবেই হোটেলে ছিলেন। সুপিরিয়র ও ডিলাক্স রুমে ছিলেন তারা। হোটেল ছাড়ার সময় নিয়ম মেনে সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ কিছু না বললেও ওয়েবসাইট থেকে রুম ভাড়া সম্পর্কে যে তথ্য জানা যাচ্ছে, তাতে দৈনিক ভাড়া প্রতিদিন কিছুটা উঠানামা করে। সেই হিসেবে সুপিরিয়র ও ডিলাক্স রুমগুলির দৈনিক গড় ভাড়া ৭৫০০ থেকে ৮৫০০ টাকা। অর্থাৎ ডিসকাউন্ট ও কর ধরে আট দিনে সবমিলিয়ে ৬৮ লক্ষ বিল হওয়ার কথা। এর পাশাপাশি বিধায়কদের খাওয়ার বিল হওয়ার কথা মোট ২২ লক্ষ টাকা। কিন্তু টাকা কে দিয়েছে সে তথ্য হোটেল কর্তৃপক্ষ না জানালেও সূত্রের খবর, এই পুরো টাকা বহন করেছে অসমের বিজেপি সরকার। আর সেখানেই প্রশ্ন, বন্যা বিধ্বস্ত অসমে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রাজ্য সরকার কিভাবে ভিন রাজ্যের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের পিছনে খরচ করলেন? যদিও হোটেল সূত্রে খবর, রুম ভাড়া সঙ্গে সংযুক্ত পরিষেবাগুলি শুধুমাত্র গ্রহণ করেছিলেন বিধায়করা। স্পা সহ অন্যান্য যে সব পরিষেবার জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। সেগুলি তারা ব্যবহার করেননি।


Previous articleসরকারি চাকরির পদোন্নতিতেও থাকছে তফসিলি সংরক্ষণ
Next articleঅশোক ঘোষের জন্মবার্ষিকীতে ফরওয়ার্ড ব্লকে ফাটল আরও দৃঢ়, নরেন-ভিক্টর কাজিয়া তুঙ্গে