করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ বাংলা সহ দেশের ১০ রাজ্যে! উদ্বেগে স্বাস্থ্যমন্ত্রক

মাঝে থিতিয়ে এলেও ফের জুন মাসের শুরুতেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। সেইসঙ্গে বাড়িছে উদ্বেগ। চতুর্থ ঢেউ যে খুব বেশি দূরে নেই, তা টের পাচ্ছে চিকিৎসামহল। এমতাবস্থায় ইজরায়েলের এক বিজ্ঞানীর চাঞ্চল্যকর দাবিতে ঘুম কেড়েছে স্বাস্থ্যমহলে। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ১০টি রাজ্যে করোনাভাইরাসের নয়া রূপ বিএ.২.৭৫ ধরা পড়েছে। তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।

আরও পড়ুন:করোনা উপসর্গ থাকলেই হাসপাতালে ভর্তি নয়, নয়া নির্দেশ উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে

ইজরায়েলের শেবা মেডিক্যাল সেন্টারের ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে কর্মরত গবেষক শে ফ্লেইশন টুওটারে লিখেছেন, , “মূলত ভারতই (সাতটি রাজ্য) এ ছাড়াও সাতটি দেশ থেকে এখনও পর্যন্ত ৮৫টি ফ্রিকোয়েন্স পাওয়া গিয়েছে। তবে ভারতের বাইরে কোথাও কারও সংক্রমিত হওয়ার খবর মেলেনি।”


ওই বিজ্ঞানী আরও জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২ জুলাই করোনার এই নয়া রূপে মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ জন। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩। দিল্লি, জম্মু, উত্তরপ্রদেশে এক জনের দেহে কোভিডের এই নয়া রূপের হদিস পাওয়া গিয়েছে। হরিয়ানায় সংক্রমিত হয়েছেন ছ’জন। হিমাচল প্রদেশে তিন’জন সংক্রমিত হয়েছেন। এছাড়াও কর্নাটকে ১০ জন, মধ্যপ্রদেশে পাঁচ জন ও তেলঙ্গানায় দু’জনের দেহে করোনার এই নয়া প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।এইনিয়ে জুলাই মাস অবধি মোট ৬৯ জন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন বলে দাবি ওই বিজ্ঞানীর।


তবে কী এই ভাইরাস নয়া কোনও দাপট দেখাবে? তা নিয়ে পরিষ্কার কোনও আভাস দেননি বিজ্ঞানী। যদিও করোনার এই নয়া রূপ সত্যিই পাওয়া গিয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে, সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর (ICMR) বিজ্ঞানী সমীরণ পান্ডা। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “ভাইরাস যতদিন থাকবে, তার নতুন নতুন রূপও সামনে আসবে। ভাইরাসের চরিত্রবদলও চলবেই। তাই এর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। এমনটা হতই।” তবে বর্তমানে দেশে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তার জন্য বিএ.২.৭৫-ই দায়ী বলে মানতে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, “বিএ.২.৭৫-এর জন্যই সংক্রমণ বাড়ছে কি না, এত তাড়াতাড়ি তা বলা সম্ভব নয়।


Previous articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleফের কেঁপে উঠল আন্দামান! চিন্তায় ভূবিজ্ঞানীরা