জন্মবার্ষিকীতে জ্যোতি বসুর স্মরণে বিধানসভায় নেই বামেদের কেউ, আক্ষেপ স্পিকারের

আজ ৮ জুলাই। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসুর ১০৯ তন জন্মবার্ষিকী। কিংবদন্তি এই রাজনীতিবিদকে এই বিশেষ দিনে শ্রদ্ধায়-স্মরণ করার রীতি আছে বিভিন্ন মহলে। জ্যোতিবাবু রাজনৈতিকভাবে একটি বিশেষ মতাদর্শে বিশ্বাসী থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি অনেক ক্ষেত্রেই সফল। তবে ব্যর্থতাও কম ছিল না, বিতর্কও আছে তাঁর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজের।

আজ তিনি নেই। তবে তাঁর স্মৃতি আছে-ছিল-থাকবে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা বিরোধী দলনেতা হিসেবে হোক কিংবা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, জ্যোতি বসুকে কোনওদিন ভুলতে পারবে না।

আজ, তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজ্য বিধানসভায় জ্যোতি বসুর তৈলচিত্রে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, “জ্যোতি বসুর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক মতবিরোধ ছিল, কিন্তু তাঁর হাতে গড়া সিপিএমের কোনও প্রতিনিধি বিধানসভায় না থাকাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। ভাবলেও খারাপ লাগে।”

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও সংযোজন, “এই বাংলায় দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে যে দলটা শাসন করেছে, যাদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ ছিল, কিন্তু সেই দলটার কোনও প্রতিনিধি আজ বিধানসভায় না থাকাটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”

বাম জমানায় যখন জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় একুশে জুলাইয়ের ঘটনা ঘটে। এদিন সেকথা স্মরণ করিয়ে জ্যোতি বসু সম্পর্কে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল্যায়ন, “জ্যোতি বসু একুশে জুলাইয়ের ঘটনা না ঘটালেই পারতেন। সেটা কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। কিন্তু তাঁর অনেক ইতিবাচক দিকও ছিল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অনুরোধও দলের সিদ্ধান্তের জন্য প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জ্যোতি বসু।”

আরও পড়ুন- ভূমিসংস্কারের পরবর্তীকালে পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে সাহায্য করেছে, বললেন সীতারাম ইয়েচুরি

 

Previous articleভূমিসংস্কারের পরবর্তীকালে পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থা ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে সাহায্য করেছে, বললেন সীতারাম ইয়েচুরি
Next articleদ্রৌপদী মুর্মুর হয়ে ভোট চেয়ে তৃণমূল সাংসদদের চিঠি শুভেন্দুর, বয়ান নিয়ে আপত্তি সৌগতর