মা কালী নিয়ে যখন সমালোচনার ঝড় সেই সময়েই নীরবতা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শোনালেন কালী কথা। যদিও প্রধানমন্ত্রী কারও নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন গোটা দেশ ও তিনি কালী মায়ের ভক্তিতেই সমর্পিত।
প্রধানমন্ত্রী রবিবার ভারচুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ (Ramakrishna Paramahamsa) মঠ ও মিশনের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে। সেখান থেকেই তিনি বলেছেন, “রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব মা কালীকে স্পষ্ট দেখেছিলেন। মা কালীর চরণে নিজের সর্বস্ব সমর্পণ করেছেন।”
তার কথায়, কালী চেতনা গোটা ভারতের বিশ্বাসে দেখা যায়। এর পরেই মোদি বলেছেন, “কালী চেতনাতেই স্বামী বিবেকানন্দকে প্রদীপ্ত করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব। এই চেতনাই স্বামী বিবেকানন্দকে পরম শক্তিশালী চরিত্র হিসাবে গড়ে তুলেছে। স্বামী আত্মস্থানন্দের মধ্যেও আমি এই শক্তি দেখেছি।”
মোদি এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কালী প্রসঙ্গে বলেছেন, “বিশ্বাস যখন পবিত্র হয়, আদ্যাশক্তি নিজেই আমাদের পথ প্রদর্শন করেন। মা কালীর আশীর্বাদ সবসময় ভারতের সঙ্গে আছে। এই আধ্যাত্মিক শক্তিই আজ ভারতকে বিশ্বকল্যাণের ভাবনায় শক্তি যোগাচ্ছে।”
এরপরই তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তুলনা করে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল সাংসদ যেখানে শক্তির আরাধ্য দেবিী কালীকে অপমান করছেন সেখানে মোদী দেবীর প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ও ভক্তির কথাই বলেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহুল ‘কালী’ ছবির পোস্টার নিয়ে লিখেছিলেন, “আমার কাছে কালী মানে যিনি মাংস ভক্ষণ এবং সুরা গ্রহণ করেন। নিজের ভগবানকে তুমি কীভাবে দেখতে চাও তা কল্পনা করার অধিকার রয়েছে। কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে ভগবানকে হুইস্কি দেওয়া হয়, আবার কিছু কিছু জায়গায় তা ভগবানের অপমানের সমান।” এই মন্তব্যের পরেই দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে মা কালীর কথা শোনার পরই তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।