পুজোর আগেই চাই ১কোটি! পার্টি ফান্ড ভরাতে ফের রাস্তায় হাত পাতছে সিপিএম

সিপিএমের এই কৌটো নাড়িয়ে রাস্তায় রাস্তায় হাত পেতে চাঁদা তোলার কৌশল এখন আর সেই অর্থে সাধারণ সহানুভূতি পায় না। বরং, সেলিম-সূর্য-বিমানদের এই পলিসি এখন ব্যাঙ্গ ও কৌতুকের খোরাক হয়েছে

বিজেপি, কংগ্রেসের পর ভারতবর্ষে যে রাজনৈতিক দলটির সম্পদের প্রাচুর্য বেশি, সেই দলটির নাম সিপিআইএম। যে রাজ্যগুলিতে একটি সময় এই দলটি শাসন করেছে কিংবা এখনও যে রাজ্যে শাসন করছে, সেখানে পার্টি অফিসের নামে একের পর এক অট্টালিকা বানিয়েছে। এই বাংলার বুকেই যদি ধরা যায়, তাহলে শুধু কলকাতাতেই কয়েকশো কোটির সম্পত্তি রয়েছে সিপিএমের। সেই “সর্বহারা”র দল ফের কৌটো নাড়িয়ে রাস্তায় রাস্তায় হাতপাততে নামছে। পার্টি ফান্ড স্ফীত করার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত অলিমুদ্দিনের। পুজোর আগে টার্গেট ১কোটি টাকা।

যদিও বিষয়টি খুব সহজ নয়। সিপিএমের এই কৌটো নাড়িয়ে রাস্তায় রাস্তায় হাত পেতে চাঁদা তোলার কৌশল এখন আর সেই অর্থে সাধারণ সহানুভূতি পায় না। বরং, সেলিম-সূর্য-বিমানদের এই পলিসি এখন ব্যাঙ্গ ও কৌতুকের খোরাক হয়েছে। যুগ যুগ ধরে যখন রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম তখন, দিনের আলোয় কৌটো নাড়ালেও নিজেদের ক্ষমতা বলে বিভিন্ন জায়গা থেকে শিল্পপতি, প্রমোটারদের ধরে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। যার কিছুটা পার্টি ফান্ডে গেলেও নেতাদের পকেটেও গেছে বেশিরভাগ।

এখন প্রায় এক যুগ সিপিএম বাংলায় ক্ষমতায় নেই। রাজ্য বিধানসভা ও লোকসভায় শূন্য হয়ে বিরোধী দলের মর্যাদাও খুইয়েছে। সংগঠনও ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকেছে। রাস্তায় খুঁজে পাওয়া যায় না। সুজনবাবুদের মতো কিছু নেতা রোজ সন্ধ্যায় টেলিভিশন চ্যানেলে বা শতরূপের মতো কিছু ফক্কর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপ্লব দেখাচ্ছেন।

এদিকে পার্টি ফান্ডের অবস্থা নাকি ভাঁড়ে মা ভবানী। দল ক্ষমতায় না থাকায় তোলাবাজি বা প্রভাব খাটিয়ে কোটি কোটি টাকা রোজগার আর হচ্ছে না। পার্টি চালানোর খরচ জোগাড় কার্যত দুষ্কর হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র পার্টি সদস্যদের চাঁদা বা লেভির উপর নির্ভর করে সেই খরচ মেটানো সম্ভব নয়। তাই ফের গণসংগ্রহ বা রাস্তায় নেমে কৌটো নাড়িয়ে মানুষের কাছে হাত পাতার উপরই নির্ভর করতে হচ্ছে সিপিএমকে।

আবার দিল্লির কেন্দ্রীয় পার্টি ফান্ডে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা দিতে দেওয়ার ফরমান জারি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে সব জেলা নেতৃত্বকে আন্দোলন করো বা না করো, পার্টির কোষাগার ভরিয়ে তুলতে পথে নেমে গণসংগ্রহের মাধ্যমে ১ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমরা। পুজোর আগেই এই লক্ষ্যপূরণে কার্যত হুইপ জারি করেছে আলিমুদ্দিনের ম্যানেজারেরা।

আরও পড়ুন:কাঁথির শ্মশান জমি দুর্নীতি, এবার গ্রেফতার সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ির চালক

 

Previous articleকাঁথির শ্মশান জমি দুর্নীতি, এবার গ্রেফতার সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়ির চালক
Next articleমা উড়ালপুলে গাড়ি বিকল হলে ব্রেকডাউন নম্বরে ফোন করুন