মারণ ভাইরাস জীবনে থাবা বসালেও, থাবা বসাতে পারেনি আত্মবিশ্বাসে। আর সেই আত্মবিশ্বাসের ভর করেই জীবন এগিয়ে চলেছে সদর্থক দিকে। হাঁটি হাঁটি পা পা করে তাই ক্যাফে পজিটিভ পৌঁছে গেল চারে।কলকাতার ‘ক্যাফে পজিটিভ’। এই ক্যাফেটেরিয়ার সব কর্মীই এইচআইভি পজিটিভ৷ চার বছর আগে ক্যাফে পজিটিভ-এর পথ চলা শুরু হয়। চার বছরের জন্মদিন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ক্যাফেতে ছিল জমজমাট অনুষ্ঠান। ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, কলকাতা আমেরিকান সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর ম্যাথু বাইকফ, কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী চৈতালি চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। তাঁদের উপস্থিতিতে কেক কাটে এইচআইভি আক্রান্ত শিশুরা।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত শিশুরা আমাদের সন্তান। এই উদ্যোগের ফলে আয়োজকরা আমাদের সন্তানদের গুরুত্ব দিচ্ছে। আসন্ন দুর্গা পুজোয় এই শিশুরা সবার সঙ্গেই আনন্দে মেতে উঠবে।

দেবাশিস কুমার বলেন, থিঙ্ক পজিটিভ, ডু পজিটিভ। ‘ক্যাফে পজিটিভ’ প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। এইচআইভি আক্রান্ত মানুষরা সুযোগ পেলে অনেকের থেকে ভালো কাজ করবে। বাড়াবে জিডিপি।

কুণাল ঘোষ বলেন, এইচআইভি পজিটিভ মানেই কিন্তু সমাজে অচ্ছুত নয়। ওরা সমাজে মূলস্রোতে থাকার মতো এবং সবদিক থেকে স্বাভাবিক। একটি হোম আনন্দঘর। এইচআইভি আক্রান্ত শিশুরা থাকে। ১৮ বছরের পর তো আর হোমে রাখা যায় না। এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছে অফার। এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে। ওদের নিয়েই দারুণভাবে চলছে ‘ক্যাফে পজিটিভ’।

অনুষ্ঠানে ছিলেন কলকাতার বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তারা। তাঁরা এই আক্রান্ত শিশুদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার অগ্রগতি কী? সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
