কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে দেশের সেরা বাংলা, মিলল কেন্দ্রের সার্টিফিকেট

২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত উপকৃত হয়েছেন প্রায় ৭৭ লক্ষেরও বেশি কৃষক। আর্থিক সাহায্য ছাড়াও এই প্রকল্পে ৮৬ হাজার কৃষককে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সবসময় বলেন কৃষি (Agriculture)  আমাদের ভিত্তি, শিল্প হল ভবিষ্যৎ। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূল (TMC) সরকার বারবার কৃষকের (Farmers)  পাশে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজ্যে সমৃদ্ধশালী হয়েছে কৃষক সমাজ। আয় বেড়েছে কৃষকের। এবার সেই কথাই স্বীকার করতে বাধ্য হল কেন্দ্র সরকার (Government of India)।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই কৃষক দরদী। মাঠে যাঁরা কষ্ট করে কৃষিজ ফসল উৎপন্ন করেন তাদের সুযোগ সুবিধার খেয়াল রাখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই বিষয় নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করেন মমতাকে। কিন্তু অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে,ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যের কৃষকদের আয়বৃদ্ধি এবং নিশ্চিত ভবিষ্যতের রূপরেখা আঁকার চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই চালু হয়েছিল কৃষকবন্ধু প্রকল্প। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত উপকৃত হয়েছেন প্রায় ৭৭ লক্ষেরও বেশি কৃষক। আর্থিক সাহায্য ছাড়াও এই প্রকল্পে ৮৬ হাজার কৃষককে বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়েছে। এবার বাংলার সাফল্যকে স্বীকৃতি দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব বলছে, পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের আয় সবচেয়ে বেশি বেড়েছে । দেশের সব রাজ্যের মধ্যে বাংলার স্থান প্রথম। অবশ্য বাংলার সঙ্গে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে পুদুচেরিও। কৃষি মন্ত্রক (Ministry of Agriculture )কৃষকদের আয়বৃদ্ধিতে বাংলার স্থান এক নম্বর ঘোষণা করার পরই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কৃষকদের আরও সাহায্য করার পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজের টাকাও দেয়নি। চরম আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে রাজ্য। তার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদিচ্ছা এবং লড়াকু মানসিকতার জন্যই কৃষকদের আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। আজ তার ফল মিলল। বাংলায় কৃষকরা যে স্বনির্ভর হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার তা স্বীকার করতে বাধ্য হল।

উল্লেখ্য কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, জমির মালিকের পাশাপাশি ভাগচাষিরাও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়ে সুবিধা পান। যে সমস্ত কৃষকদের জমির পরিমাণ এক একর বা তার বেশি, তাদের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বছরে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। এক একরের কম জমি থাকলেও অনুদান মেলে ৪ হাজার টাকা।২০১৯ সালে এই কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করে তৃণমূল সরকার। এর দৌলতেই আজ বাংলার কৃষকদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক। ফের এক নম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা।


Previous article‘দ্য ডিসকোর্স ২০২২’- রাজ্যগুলিকে অনেক বেশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল বক্তাদের
Next articleপুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! শিলিগুড়িতে ধৃত ৩