বিশ্বের অন্যতম শক্ত কাজ ভারতের মতো দেশে ভাল ডাক্তার হওয়া: নোবেলজয়ী

তাঁর মতে, দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিচার করে, সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে এখানে চিকিৎসা করতে হয়।

বিশ্বের অন্যতম শক্ত কাজ ভারতের মতো দেশে ভাল ডাক্তার হওয়া। এমনটাই মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিচার করে, সীমিত পরিকাঠামোর মধ্যে এখানে চিকিৎসা করতে হয়।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট জাপানের, তালিকায় ভারতের স্থান কত?

মঙ্গলবার লিভার ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে শতাধিক বাঙালি চিকিৎসকের জীবনের বিভিন্ন দিকের সংকলন ‘একশো তারার আলো’ গ্রন্থের প্রকাশ করেন অভিজিৎ। তাঁর মতে, অন্য দেশে যে ধরণের যন্ত্রপাতি এবং সহজে পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, তা এখানে নেই। থাকলেও তা ব্যবহার করতে কুণ্ঠিত হতে হয়।
কারণ, কত খরচ হবে আর তা সকলে দিতে পারবেন কি না, তা ভেবে। বিদেশে এই বিচার না করে পরীক্ষা-নির্ভর চিকিৎসা হয়। অনেকে কষ্টের কথা ঠিক মতো বলতে পারেন না। দারিদ্রের কারণে অনেকে পরীক্ষার কথা শুনেই পালিয়ে যান। অভিজিৎ আরও বলেন, ‘‘এই তিন সমস্যা নিয়ে এখানে ডাক্তারদের বাঁচতে হয়।’’

তাই ছোট ছোট সূত্রকে জুড়ে, অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চিকিৎসকদের অসুখ নির্ণয় করে রোগীকে সারিয়ে তুলতে হয়। বুঝতে হয় রোগীর সামাজিক স্থিতি আর সর্বশেষে মনস্তত্ত্ব ও ভাষাতত্ত্ব। এর জন্য অসামান্য ধৈর্য ও সহমর্মিতার প্রয়োজন বলেও মত অভিজিতের। বর্তমানে রোগী-চিকিৎসকের সম্পর্কের অবনতির পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের আরও ধৈর্যশীল ও সহমর্মী হওয়ার বার্তাও দেন তিনি। বলেন, ‘‘বইয়ে যাঁদের কথা তুলে ধরা হয়েছে, তাঁদের খোলা মন, দরদ ও ধৈর্য ছিল।’’ শিশুরোগ চিকিৎসক শিশির বসুর পুত্র সুগত বসু বলেন, ‘‘শুধু পেশা নয়। এ দেশে চিকিৎসা হচ্ছে বিশেষ ধরনের জনসেবা।’’
১০৫ জনের চিকিৎসা-পেশার বাইরেও সাহিত্যচর্চা, রাজনীতির অঙ্গনে থেকে মানবকল্যাণ, চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী গবেষণা, শিক্ষকতা ও চারিত্রিক গুণাবলীর আলোচনা রয়েছে বইটিতে।

 

 

Previous articleKolkata: শহরের বুকে অগ্নিকাণ্ড, ভরদুপুরে ভবানীপুরের দোতলা বাড়িতে আগুন
Next articleপ্রয়োজনে গাছ তলায় স্কুল, বিপজ্জনক বাড়িতে চলবে না ক্লাস: জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়