প্রয়োজনে গাছ তলায় স্কুল। প্লাইউড দিয়ে অস্থায়ী স্কুল। কিন্তু জিরাটে অতি বিপজ্জনক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস করা যাবে না। বুধবার, একথা স্পষ্ট জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguli)। নদীর পাড়ে বিপজ্জনক ভাবে স্কুল চালানো যাবে না। বৃহস্পতিবার থেকেই স্কুল সরিয়ে অন্যত্র সরাতে হবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে স্কুল চলবে না। যে কোনও দিন পড়ুয়া-শিক্ষকদের সঙ্গে চরম দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তদন্ত কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
হুগলির (Hoogli) জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চক খয়রামারি প্রাথমিক স্কুলটি নদীর ধারেই। ফলে স্কুলের পাশের মাটি প্রতিদিন ক্ষয়ে যাচ্ছে। মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্কুলটি। ৫০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে ওই স্কুলে। স্কুলের যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও মুহূর্তে বিপদে পড়বেন ছাত্র-শিক্ষক-কর্মীরা। স্কুলের খবর সংবাদ মাধ্যমে দেখেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, আদালত এটা হতে দিতে পারে না। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিন দফা নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানানোর জন্য বুধবার আদালতে তলব করা হয় হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন এবং জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে। এর পাশাপাশি, ওই বিষয়টি নিয়ে আদালত আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তকে ‘বিশেষ আধিকারিক’ হিসাবে নিয়োগ করেছে। এদিন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি।