মহাসমাবেশ ঘিরে শহরে জনস্রোত, থাকছে পুলিশের কড়া নজরদারি

আজ একুশে জুলাই। তৃণমূলের মহাসমাবেশ। টুপিতে ঘাসফুল, বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে , কেউ বা বিশেষ পোশাক পরে পায়ে পায়ে দলীয় স্লোগান দিতে দিতে ধর্মতলায় ভিড় জমাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকেরা। সাতসকালে এন এন ব্যানার্জি রোড ধরে এগিয়ে চলেছে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের মিছিল। ভিড় সামলাতে বন্ধ গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, আর এন মুখার্জি রোড। চাঁদনি চক থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত যান চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘাসফুল আঁকা পতাকায় সেজে উঠেছে গোটা চত্বর।আজ রঙিন হয়ে উঠেছে কলকাতা শহর।

আরও পড়ুন:২১শের মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই শহরে জনজোয়ার

ধর্মতলায় ২১শে জুলাইয়ের সভামঞ্চ ঘিরে বেনজির সুরক্ষা। কার্যত নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে কলকাতাকে। শুধু ধর্মতলা চত্বর ও আশপাশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন সাড়ে তিন হাজার পুলিশ কর্মী।  এছাড়াও অতিরিক্ত ১ হাজার ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকেও নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে খবর। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ২১শের সভামঞ্চের পাশেই রাখা হচ্ছে, ৫টি অ্যাম্বুল্যান্স, ৫৮টি QRT ভ্যান, ১২টি PCR ভ্যান এবং ১১টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। নজরদারির জন্য ধর্মতলার মঞ্চ ঘিরে বসানো হয়েছে অতিরিক্ত সংখ্যক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মিছিল চলাকালীন যাতে কোনও অশান্তি না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখবে পুলিশ। সূত্রের খবর, হাওড়া ব্রিজ, শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশন, গিরিশ পার্ক, হাজরা মোড়, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে থাকবে পুলিশের টিম। ১১টি জায়গা দিয়ে মিছিলগুলি পৌঁছবে ধর্মতলায় সমাবেশস্থলে। সে জন্য সড়ক পথের পাশাপাশি নজর রাখা হচ্ছে প্রত্যেকটি ফেরিঘাটে। সেখানে নজরদারি চালাবে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ডুবুরির ব্যবস্থাও করে রাখা হচ্ছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর।

এছাড়াও ধর্মতলা চত্বরে একুশের সমাবেশে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন কয়েকহাজার যুব তৃণমূল কর্মী। কালো টি-শার্ট, কলার ও পকেটে তিরঙ্গা। সভায় আসা কর্মী, সমর্থকদের প্রয়োজনে সাহায্য করার পাশাপাশি, পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভিড় সামলাবেন তৃণমূলের এই স্বেচ্ছাসেবকরা।



Previous articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next article কাউন্টডাউন শুরু,  কে হবেন রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা ?